ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বড়পুকুরিয়ায় কয়লার মজুদ ফুরিয়ে আসছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১০ নভেম্বর ২০১৪

বড়পুকুরিয়ায় কয়লার মজুদ ফুরিয়ে আসছে

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন ৬ মাস ধরে বন্ধ থাকায় ফুরিয়ে যাচ্ছে কয়লার মজুদ। এক সময়ে কোল ইয়ার্ডে কয়লার মজুদ ৪ লাখ টন ছাড়িয়ে গেলেও এখন ৩৯ হাজার টনে নেমে এসেছে। কয়লা উত্তোলন শুরু করা না গেলে হুমকির মুখে পড়বে ২৫০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রটি। সেই সঙ্গে জ্বালানি সঙ্কটে পড়বে উত্তরাঞ্চলের ইট ভাটাগুলো। এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, ১৮ নবেম্বরের মধ্যে নতুন ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কোল ইয়ার্ডে ৪০ হাজার টনের মতো কয়লা মজুদ রয়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আপাতত ১২০৫নং ফেজটি বন্ধ আছে। ১২১২ নম্বর ফেজকে কয়লা উত্তোলনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১২০৫ নম্বর কোল ফেজ থেকে চলতি বছরের ১০ মে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। কয়লা কাটা শুরুর ১০-১১ দিনের মাথায় কোল ফেজের উপরের পানির পকেট ভেঙ্গে পড়ে জলাধারের সৃষ্টি হয়। হাঁটুপানি জমে যায় ভূগর্ভের কয়লা কাটার রাস্তায়। খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ (এমএ্যান্ডপি) ঠিকাদার সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম প্রথম দিকে খনি ভূগর্ভে স্থাপিত পাম্পের মাধ্যমে পানি সরিয়ে ফেলে কয়লা উৎপাদন শুরুর চেষ্টা করে। খনি বিশেষজ্ঞরা ফেজে স্থানীয় শ্রমিকের মাধ্যমে পানি ঠেকাতে নানা পদ্ধতি প্রয়োগ করলেও কাজে আসছিল না। চীন থেকে খনি বিশেষজ্ঞরা এলেও পানি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে ১২০৫ ফেজটি থেকে সাময়িকভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়। পরে ১২১২ নম্বর ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয় খনি কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় নতুনভাবে ইকুইপম্যান্ট বসানোর কাজ। ৬ মাস খনি উৎপাদন বন্ধ থাকায় খনির কোল ইয়ার্ডে জমে থাকা কয়লার পাহাড় শেষ পর্যায়ে এসে পড়েছে। দীর্ঘ সময় কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকায় প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার টন হিসেবে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। যার মূল্য প্রায় ৬৭৫ কোটি টাকা। এছাড়া ওই সময়ের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ খনির স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে নিতে ব্যয় করতে হয়েছে ৪০ কোটি টাকার ওপরে।
×