ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আবদুল মান্নান

অতঃপর বাবু কহিলেন

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৯ নভেম্বর ২০১৪

অতঃপর বাবু কহিলেন

ঠিক করেছিলাম এ সপ্তাহের লেখাটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সাম্প্রতিক কিছু উক্তি নিয়ে শুরু করব; কিন্তু বাদ সাধলেন সুদূর লন্ডনে থাকা আমার এক বন্ধু। বন্ধু জানে আমি বেশ রাত করে ঘুমাতে যাই। বুধবার বেশ রাতেই (তখন ল-নে রাত নয়টা) সেই বন্ধু ফোন করে বেশ উত্তেজিত কণ্ঠে আমার কাছে জানতে চান আমি ঐদিন লন্ডনে দেয়া তারেক রহমানের বক্তৃতা সম্পর্কে কিছু জানি কিনা। তাকে বলি তেমন কিছু জানি না, তবে পত্রিকা পড়ে জেনে নেব। বৃহস্পতিবার অনলাইনের সংবাদ মাধ্যমগুলো বেশ গুরুত্ব সহকারে জিয়া দম্পতির এই পুত্রধনের বক্তব্যটি ফলাও করে প্রচার করল। শুক্রবার দেশের সকল পত্রিকাও তারেক রহমানের সেদিনের বচনামৃত প্রচার করেছে। ইদানীং তারেক রহমানের কথাবার্তাকে তেমন আর একটা গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন মনে করি না; কারণ আমি নিশ্চিত বর্তমানে নানা ধরনের হতাশা হতে তার চিন্তাশক্তি তেমন একটা আর কাজ করছে না। শুধু তার নয়, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অথবা তাদের রাজনীতি সমর্থন করেন এমন অনেকের অবস্থাও তারেক রহমানের মতো। সেদিন একটি টিভি টকশোতে অংশ নিতে গিয়েছিলাম। আমরা চারজন অংশগ্রহণকারী। আলোচনার বিষয় সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রার্থীদের কমনওয়েল্থ পার্লামেন্টারি এ্যাসোসিয়েশন ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের শীর্ষপদে জয়লাভ ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সরকারের গ্রহণযোগ্যতা। আমার এক অনুজপ্রতিম সহকর্মী, যিনি আবার একটি বড় সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞানের সিনিয়র অধ্যাপক; বললেন, এ সব সংগঠন তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। বাংলাদেশের ক’জন মানুষ এসব সংগঠনের নাম শুনেছেন? আমার সেই সহকর্মীকে বলি অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, বাংলাদেশ যদি ঘটনাচক্রে জাতিসংঘের মহাসচিবের পদেও জয়লাভ করত তাহলে হয়ত আপনি একই কথা বলতেন। তিনি একটু মুচকি হাসলেন। বুধবার লন্ডনে তারেক রহমান বিএনপির ৭ নবেম্বর পালন দিবস উপলক্ষে দলীয় এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন। বললেন, শেখ মুজিবের নামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হওয়া উচিত; কারণ তিনি পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে এসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। নাদান আর কাকে বলে! বাংলাদেশে একটি প্রবাদ আছে, শীতকালে পাগলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। লন্ডনে এখন বেশ ঠা-া। তবে শীতে তারেক রহমানের কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়; কারণ তিনি উত্তর লন্ডনের বিলাসবহুল সাউথ গেট এলাকার এনফিল্ড আবাসিক অঞ্চলে সপরিবারে থাকেন, যেখানে মাসিক খরচ ন্যূনতম গড়ে পাঁচ হাজার পাউন্ড, যা বাংলাদেশী টাকায় বছরে পঁচাত্তর লাখ টাকা। এই বিশাল পরিমাণের অর্থ কে যোগায় তাও এক বড় প্রশ্ন। তবে বাজারে প্রচলিত বিশ্বাস হচ্ছে, এই অর্থের একটি বড় অংশ আসে পাকিস্তানের আইএসআই’র তহবিল হতে। এর সত্য-মিথ্যা যাচাই করার ব্যাপার। তবে বিএনপিকে যে পাকিস্তানের আইএসআই বিভিন্ন সময় বিপুল পরিমাণের অর্থ যোগান দিয়েছে তা পাকিস্তানের আইএসআই’র শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ইতোপূর্বে একাধিকবার স্বীকার করেছেন (লেঃ জেনারেল হামিদ গুল ও মেহরান ব্যাংক জালিয়াতি)। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন হয়ে বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফেরেন তখন তারেক রহমান একান্তই নাবালক। তবে এতদিনে তাঁর জানা উচিত, পাকিস্তান হতে লন্ডন আর লন্ডন হতে ঢাকা অবধি যাতায়াতের জন্য বঙ্গবন্ধু আর তাঁর সফরসঙ্গী ড. কামাল হোসেন কোন পাসপোর্ট ব্যবহার করেননি। তাঁরা বিশেষ ব্যবস্থায় এই যাত্রা করেছিলেন। তারেক রহমানের আরও জানা উচিত, ১৯৭৩ সালের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন পাসপোর্ট ছিল না। কেউ দেশের বাইরে যেতে চাইলে তাকে একটি অস্থায়ী বিশেষ ট্রাভেল পারমিট দেয়া হতো। এর আগেও তারেক রহমান একজন নাদানের মতো বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এমন সব উক্তি করেছেন। এসব উক্তি শ্রেফ বেয়াদবি বললে কম বলা হবে। বলতেই যদি হয় তাহলে তারেক রহমানের উচিত তাঁর কীর্তিমান পিতার কথা বলা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাকের হাত ঘুরে ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল জিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদটি দখল করেছিলেন। ভগ্নস্বাস্থ্যের অজুহাত দেখিয়ে এদিন জিয়া বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে বাধ্য করেন। জিয়া ১৯৭৮ সালের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকায় রাতের বেলা সান্ধ্য আইন জারি করে দেশ শাসন করেন। জিয়ার সব সময় ক্ষমতা হারানোর একটা ভয় ছিল। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি একুশবার (মতান্তরে ১৯ বার) অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এসব অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে জিয়া প্রায় দু’হাজার সৈনিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করেছিলেন। ২৭ অক্টোবর প্রথমবারের মতো জিয়া ঢাকায় সান্ধ্য আইনের মেয়াদ দুই ঘণ্টা শিথিল করেন। জিয়া বাংলাদেশে প্রথম ব্যক্তি যিনি ক্ষমতায় থেকে ‘হাঁ’ ‘না’ ভোটের মতো একটি গণভোট তামাশার মাধ্যমে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন। এই কর্মটি তাঁর পূর্বের গুরু পাকিস্তানের সেনাশাসক জেনারেল আইউব খানও করেছিলেন। সেই ‘গণভোটে’ কোন কোন কেন্দ্রে একশ’ ভাগের বেশি ভোট পড়েছিল এবং আইউব খানের মতো জিয়া দাবি করেছিলেন তিনি ৯৯% মানুষের সমর্থন পেয়েছেন। ১৯৭৮ সালের ৩ জুন জিয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী বীরউত্তম। এ সময় জিয়া সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং সেনাপ্রধান ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মচারী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এ বাধা দূর করার জন্য জিয়া ১৯৭৮ সালের ২৯ এপ্রিল সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করেন যাতে বলা হয় ‘(ক) প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে বহাল থাকবেন এবং তিনি প্রত্যক্ষভাবে কিংবা তাদের স্টাফ প্রধানদের মাধ্যমে তাদের পরিদর্শন, নির্দেশ প্রদান এবং নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ব্যবহার করবেন। (খ) প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক অত্র প্রজাতন্ত্রের কোন চাকুরীতে নিযুক্ত এবং বেতনভাতাদি ভোগ করছেন বলে বিবেচিত হবেন না’। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিই হচ্ছেন বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। জিয়া নিজের সুবিধার্থে এই সংশোধনীর আশ্রয় নেন; কিন্তু সেনাপ্রধান প্রজাতন্ত্রের বেতনভোগী কর্মচারী নন এ কথা কোথাও বলা হয়নি। জিয়া ছিলেন প্রথম অনৈতিক, আইন ও সংবিধানের দৃষ্টিকোণ হতে অবৈধ ও অসাংবিধানিক প্রেসিডেন্ট। ১৯৭৮ সালের ২ মে নমিনেশন জমা দেয়ার আগ পর্যন্ত এমনকি নির্বাচনের দিন পর্যন্ত জিয়া প্রজাতন্ত্রের একজন বেতনভোগী কর্মচারী ছিলেন। এ ছাড়া জিয়া সেনাবাহিনী হতে অবসর নেয়ার কয়েক মাস পর ১৯৭৯ সালের ১৯ এপ্রিল আর এক অবৈধ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পেছনের তারিখ দিয়ে ১৯৭৮ সালের ২৮ এপ্রিল হতে নিজেকে অবৈধভাবে লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি দেন। জিয়া ১৯৭৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। কিন্তু প্রজ্ঞাপনে দেখানো হয় তিনি ১৯৭৮ সালের ২৯ এপ্রিলে সেনাবাহিনী হতে অবসর নিয়েছেন। এটি একটি অভূতপূর্ব জালিয়াতি। তাঁর পুত্র কী তাঁর পিতার এসব কর্মকা- সম্পর্কে ওয়াকিবহাল? হলে তা তিনি জাতিকে জানাতে পারেন। প্রশংসিত হবেন। দেশের মানুষ এটি বুঝবেন তাঁকে লন্ডনের শীত এখনও কাবু করতে পারেনি। এবার আসি বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রসঙ্গে। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরবর্তীকালে বিএনপিতে রাজনৈতিক রিলিফ ক্যারেক্টারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সর্বশেষ সংযোজন সম্ভবত বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বক্তৃতায় বলেন, ‘ওই হত্যাকা- জিয়াউর রহমানের নির্দেশে হয়েছে’। এতে চরম আপত্তি বাবুর। তিনি প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানে বলেন, জিয়াউর রহমানের নির্দেশে শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন। তাঁর নির্দেশেই বিলুপ্ত আওয়ামী লীগ আবার রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছিল। বর্তমান আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট কর্মকা- দেখে মনে হয় জিয়ার ওই নির্দেশ (শেখ হাসিনার দেশে ফেরা) একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।’ ইদানীং গয়েশ্বর বাবু উস্কানিমূলক বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিদিন আলোচনায় থাকতে চান। সম্ভবত তিনিও তাঁর দলের অন্য অনেকের মতো ‘বড় ভাইয়ার’ নজরে আসতে চান; কারণ এখন তিনিও বুঝতে পারছেন তাঁর দলের আসল ক্ষমতা দ্রুত ‘বড় ভাইয়ার’ হাতে চলে যাচ্ছে। তিনি যেটি বুঝতে পারেননি দেশটা কারও বাপের সম্পত্তি নয় যে, শেখ হাসিনাকে অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে আসতে হবে আর আওয়ামী লীগ স্বনামে রাজনীতি করবে কিনা তা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। গয়েশ্বর বাবু বলেননি জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে যুদ্ধাপরাধের কারণে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াত, মুসলিম লীগসহ সকল ক্রিমিনাল সংগঠনকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেদিন বাবু আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আর জেলহত্যা করেছে আওয়ামী লীগের নিজেদের লোকেরা! তাই যদি হয় তাহলে জিয়া কী করে প্রেসিডেন্ট হন? বঙ্গবন্ধু, জেলহত্যার খুনীদের দেশে-বিদেশে ডিপ্লোমেটিক পোস্টিংসহ নানাভাবে পুরস্কৃত করার পেছনে কী স্বার্থ ছিল জিয়ার? শমশের মোবিন চৌধুরী বেগম জিয়ার উপদেষ্টা। তিনি ১৫ আগস্ট ও ৩ নবেম্বরের খুনীদের বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে সকল আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এসবে কী আওয়ামী লীগের কোন ভূমিকা ছিল? আসলে বাবুদের বড় আফসোস ১৫ আগস্ট অথবা ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট কেন বঙ্গবন্ধুর কন্যাদ্বয় বেঁচে গেলেন? জিয়া যে বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তা তো নতুন কিছু নয়। কর্নেল রশিদ (বরখাস্ত) লন্ডনের চ্যানেল ফোর টিভিতে প্রখ্যাত সাংবাদিক এ্যান্থনী মাসকারেনহাসকে অকপটে বলেছেন, হত্যাকা- ঘটানোর কয়েক মাস আগে পুরো বিষয় নিয়ে জিয়ার সঙ্গে তিনি আলাপ করেন। জিয়া কী সেই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তাঁর উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছিলেন? বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে বিচারক কাজী গোলাম রসুল ১৬৮ পৃষ্ঠায় মৃত্যুদ-াদেশপ্রাপ্ত মহিউদ্দিনের জবানবন্দী উদ্ধৃত করে লিখেছেন ‘১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা ছিল। যার জন্য তিনি ফারুক এবং এরশাদের কাছে দুর্বল ছিলেন।’ বঙ্গবন্ধু হত্যায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন জিয়াউর রহমান। তাঁর দল সব সময় এই বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। এমনকি রায় ঘোষণার পূর্বদিন তারা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করেছিল। জেলহত্যার সঙ্গে জিয়ার কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকলে ঘাতকদের তিনি দেশ ত্যাগে কেন সহায়তা করেছিলেন? কেনইবা তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সব ধরনের প্রাইজ পোস্টিং দিয়েছিলেন? বাঙালী আর বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য এ দেশের এক শ্রেণীর জ্ঞানপাপী এই দলটি কেন ক্ষমতায় নেই তার জন্য দিন-রাত আহাজারি আর বিলাপ করেন; সুযোগ পেলেই তাদের সঙ্গে সমঝোতা আর সংলাপের তাগিদ দেন। গয়েশ্বর বাবু গোলাম আযমের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান হয়ে তার শোক মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। হয়ত শোনা যাবে তিনি আগামী কোন এক সময় জামায়াতে যোগ দিয়েছেন। জামায়াতের বর্তমান যা অবস্থা তাদের গয়েশ্বর চন্দ্রের মতো ব্যক্তিদের প্রয়োজন হতে পারে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে একবার ইসলামী ছাত্রশিবির পূর্ণেন্দু রায় নামের একজনকে মনোনয়ন দিয়ে তাকে জিতিয়ে এনেছিল। সুতরাং গয়েশ্বর বাবুদের জন্য জামায়াতের দরজা খোলা থাকতেও পারে। ৮ নবেম্বর ২০১৪ লেখক : গবেষক ও বিশ্লেষক।
×