ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ূম

প্রসঙ্গ ইসলাম ॥ ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ৭ নভেম্বর ২০১৪

প্রসঙ্গ ইসলাম ॥ ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার

নর ও নারী মিলেই মানব জাতি। নরপ্রধান পৃথিবীতে ইসলামই নারীদের যথাযোগ্য মান-মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিশ্ব মানবসভ্যতার ইতিহাসে ইসলামই সর্বপ্রথম নারীদের সম্মানের মসনদে অধিষ্ঠিত করেছে। ইসলামের পরিপূর্ণতা সাধিত হয়েছে হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে। তাঁর আবির্ভাবের পূর্বে নারীদের অভিহিত করা হতো ডাইনি, কুহকিনী, ছলনাময়ী, শয়তানের ফাঁদ, আত্মাহীনা ইত্যাদি অমানবিক অভিধায়। তাদের সঙ্গে গৃহপালিত পশুর মতো, আসবাবপত্রের মতো, পণ্যসামগ্রীর মতো ব্যবহার করা হতো। নারীরা কেবলই পুরুষের সেবা করবেÑ এমনতর ধারণা সর্বত্র শেকড় গেড়ে বসেছিল। দেবদাসী, সেবাদাসী, গণমনোরঞ্জনকারিণী হিসেবে নারীরা তাদের মান-মর্যাদাকে লুণ্ঠিত করেছিল। কোথাও কোথাও স্বামীর সঙ্গে চিতায় স্ত্রীকেও দাহ করা হতো, যা সতীদাহ প্রথা নামে অভিহিত হতো। বিধবা বিবাহ অত্যন্ত পাপের কাজ বলে বিবেচিত হতো। থিওডোরা, আম্রপালী, মেনকা, উর্বশীদের জীবনকথা কে না জানে! গ্রীসে স্ত্রী এমন পণ্য হিসেবে বিবেচিত হতো যে, তাকে অন্য পুরুষের কামানন্দ দেবার জন্য ভাড়া দেয়া হতো, বিক্রয়ও করা হতো। বহুবিবাহ প্রথা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল। অসংখ্য উপপতœী রাখার প্রথা অভিজাত শ্রেণীর মধ্যে স্বাভাবিক ছিল। নারীদের নিয়ে এসব মনুষ্যত্বহীন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ইসলাম সোচ্চার হয়ে ওঠে এবং ওগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে। ইসলাম নারীদের এক করুণ অমানবিক হাল থেকে উদ্ধার করে তাদের মানুষ হিসেবে যথাযোগ্য ন্যায্য অধিকার এবং সম্মানজনক মর্যাদা নিশ্চিত করে। বিশ্ব মানবসভ্যতা গড়ে তোলায় নারী-পুরুষ উভয়ের অবদান রয়েছে। আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন : হে মানুষ! আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে, পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে যাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পার। (সূরা হুজুরাত : আয়াত-১৩)। নারীর প্রথম পরিচয় সে পিতা মাতার কন্যা। কিন্তু মানুষ হিসেবে তার কোন কদরই ছিল না। আরব দেশে তো অনেক পিতা লজ্জা-শরমে, মনের দুঃখে শিশুকন্যাকে জীবন্ত কবর দিত। শুধু আরব দেশ কেন, পৃথিবীর সর্বত্র কন্যাসন্তান হলে পিতাসহ পরিবারের সকলের মুখ কালো হয়ে যেত, এজন্য মাতাকে নিগৃহীতও হতে হতো। এ সম্পর্কে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : তাদের কাউকে যখন কন্যাসন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয় তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায়। এবং সে অসহনীয় মনস্তাপে ক্লিষ্ট হয়। তার যে সংবাদ দেয়া হয় তার গ্লানিহেতু সে লোক সমাজ হতে নিজেকে লুকিয়ে রাখে। সেভাবে হীনতা সত্ত্বেও সে তাকে রেখে দেবে, না মাটিতে পুঁতে দেবে! সাবধান! ওরা যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা কত নিকৃষ্ট! (সূরা নহল : আয়াত ৫৮-৫৯)। এতে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করলে খুশি হওয়া উচিত। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যে স্ত্রীলোকের গর্ভে প্রথম কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে সেই স্ত্রীলোক পুণ্যময়ী। হাদীসে আছে যে, যখন কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হয় তখন আল্লাহ ফেরেশতাদের প্রেরণ করেন। তারা এসে বলে : পরিবারের সবার ওপর বর্ষিত হোক শান্তি। তারপর তারা বাহু দিয়ে কন্যাসন্তানটিকে আবেষ্টন করে এবং তার মাথায় হাত রাখে। যে ব্যক্তি এর রক্ষণাবেক্ষণে মনোযোগী হবে সে কিয়ামত পর্যন্ত সাহায্য পাবে। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : আকাশম-লী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই। তিনি যা ইচ্ছে করেন তা সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। (সূরা শূরা : আয়াত-৪৯)। এখানে লক্ষণীয় যে, উপরোক্ত আয়াতে কারীমায় প্রথমেই কন্যাসন্তানের উল্লেখ করে আল্লাহ্্ জাল্লা শানুহু কন্যাসন্তানের প্রাধান্য দিয়েছেন। একদিন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে বললেন : যে ব্যক্তি কন্যা বা ভগ্নিকে লালন-পালন করে, সুশিক্ষা দান করে এবং তাদের প্রতি সদয় ব্যবহার করে, তারপর বয়ঃপ্রাপ্ত হলে সৎপাত্রে ন্যস্ত করার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে দেয় তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। একজন জিজ্ঞাসা করলেন : হে আল্লাহ্র রসুল দুটো থাকলে? তিনি বললেন : দুটোর ক্ষেত্রেও। আর একজন জিজ্ঞাসা করলেন : একটা থাকলে? তিনি বললেন : একটির ক্ষেত্রেও (মিশকাত শরীফ)। প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন : কারও কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হলে সে যদি তাকে পুঁতে না ফেলে, তাকে যদি সে অপমানিত না করে এবং তাকে উপেক্ষা করে যদি সে পুত্রসন্তানের পক্ষপাতিত্ব না করে তবে আল্লাহ্ তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন (আবু দাউদ)। ইসলাম বিয়ে-শাদির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও সুস্পষ্ট বিধান দিয়েছে। বহু বিবাহ প্রথাকে নস্যাত করার লক্ষ্যে চারজন পর্যন্ত স্ত্রী গ্রহণের অনুমতি দেয়া হলেও সে ক্ষেত্রে জুড়ে দেয়া হয়েছে কতকগুলো শর্ত। যার ফলে ইচ্ছা করলেই একাধিক স্ত্রী গ্রহণের প্রবণতা রোধ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : বিয়ে করবে তোমাদের পছন্দমতো দুই, তিন অথবা চার নারীকে আর যদি আশঙ্কা কর যে, সুবিচার করতে পারবে না তবে একজনকে (সূরা নিসা : আয়াত-৩)। প্রত্যেক স্ত্রীর ওপর সুবিচার (আদল) করার ক্ষমতা ও সামর্থ্য না থাকলে একটি বিয়ে করার নির্দেশ বলবত করা হয়েছে। কনের ‘ইয্ন (সম্মতি বা অনুমতি) ছাড়া বিয়ে সিদ্ধ হয় না। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : নারীদের তেমনি ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে যেমন আছে তাদের ওপর পুরুষদের (সূরা বাকারা : আয়াত-২২৮)। অন্য এক আয়াতে কারীমায় ইরশাদ হয়েছে : তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ (সূরা বাকারা : আয়াত-১৮৭)। সকল প্রকারের যিনা অর্থাৎ পরপুুরুষ ও পরনারীর অবৈধ মিলন তথা ব্যভিচার বা বলাৎকারকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান দিয়ে ইসলাম ধর্ষণ এবং উপপতœী ও রক্ষিতা রাখার কুপ্রথাকে উৎখাতের সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। কাদের সঙ্গে বিয়ে হতে পারে এবং কয়টা পর্যন্ত বিয়ে কি কি শর্ত সাপেক্ষে হতে পারে তার বিধান দিয়ে ইসলাম নারী সমাজের মর্যাদা, অধিকার ও সম্মানকে যেমন সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে তেমনি পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যাবোধের শক্ত বুনিয়াদ সংস্থাপন করেছে। স্ত্রীকে স্বামীর সংসারে সম্রাজ্ঞীর মর্যাদা ইসলাম দিয়েছে। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহ আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : তোমরা সবাই এক একজন শাসক এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার নিয়ন্ত্রণাধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। আমীর (রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান) হচ্ছে দেশের শাসক আর পুরুষ হচ্ছে পরিবারের শাসক। নারী হচ্ছে তার স্বামীর ও সন্তানদের শাসক, সুতরাং তোমরা প্রত্যেকেই শাসনকর্তা এবং প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে (রোজ হাশরে) তোমাদের নিয়ন্ত্রণাধীনদের সম্পর্কে (বুখারী শরীফ)। স্বামী-স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করেছে। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : একটা জিনিস বিধিসম্মত হলেও আল্লাহ্ পছন্দ করেন না আর তা হচ্ছে তালাক। তালাক এড়ানোর পরামর্শ দিয়ে কুরান মজীদে ইরশাদ হয়েছে : তাদের (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ের মধ্যে বিরোধ আশঙ্কা করলে তোমরা তার (স্বামীর) পরিবার থেকে একজন এবং তার (স্ত্রীর) পরিবার থেকে একজন সালিশ নিযুক্ত করবে, তারা উভয়েই নিষ্পত্তি চাইলে আল্লাহ্ তাদের মধ্যে অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করবেন। (সূরা নিসা : আয়াত-৩৫)। একজন সাহাবী প্রিয়নবীকে (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন : কার খিদমত করা আমার কর্তব্য। প্রিয়নবী (সা.) বললেন : তোমার মায়ের। সাহাবী বললেন : তারপর? প্রিয়নবী (সা.) বললেন : তোমার মায়ের। সাহাবী বললেন : তারপর? প্রিয়নবী (সা.) বললেন : তোমার মায়ের। সাহাবী বললেন : তারপর? প্রিয়নবী (সা.) বললেন : তোমার পিতার এবং তারপর পর্যায়ক্রমে তোমার আত্মীয়-স্বজনের (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবূ দাউদ)। একবার এক যুবক প্রিয়নবী (সা.)-এর দরবারে এসে জিহাদে শরিক হবার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি বললেন : তোমার মা আছেন? যুবক সাহাবী বললেন, জি, হ্যাঁ। তখন তিনি তাকে বললেন : যাও, মায়ের খিদমত কর গিয়ে। নিশ্চয়ই, তোমার মায়ের পদতলেই তোমার জান্নাত (আহমদ, নাসাঈ, বায়হাকী)। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহ আলায়হি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাবের পূর্বে নারীদের ধন-সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার স্বত্ব স্বীকৃত ছিল না। ইসলামই নারীকে পুরুষের সহশরিকানা স্বত্ব স্থির করে দেয়, মৃতের পরিত্যক্ত সম্পত্তির হকদার নারীকেও করা হয়। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষের অংশ আছে এবং পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীরও অংশ আছে, তা অল্পই হোক অথবা বেশি হোক, এক নির্ধারিত অংশ। (সূরা নিসা : আয়াত-৭)। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ইসলামে বিদ্যা অর্জন করা অবশ্য কর্তব্য। কুরআন মজীদে নারী-পুরুষ উভয়কেই পরিশ্রমী ও কর্মনিষ্ঠ হবার জোর তাকিদ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন : আমি তোমাদের মধ্যে কোন কর্মনিষ্ঠ নর অথবা নারীর কর্ম বিফল করিনে। তোমরা একে অপরের অংশ (সূরা আলে ইমরাম : আয়াত-১৯৫)। আরও ইরশাদ হয়েছে : পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার প্রাপ্য অংশ এবং নারী যা অর্জন করে সেটা তার প্রাপ্য অংশ। (সূরা নিসা : আয়াত-৩২)। নারী স্বাধীনতা, নারী মুক্তি, নারীর অধিকার ইসলামই দিয়েছে। ইসলামের ইতিহাসের পাতায় পাতায় তার অসংখ্য স্বাক্ষর দেদীপ্যমান। হযরত ‘আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) ২২১০ খানি হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি হাদীস, কুরআন, তফসীর ও সহিত্যের পাঠদান করতেন। তিনি কয়েকটি যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে শরিক হয়েছেন। এমনি আরও বেশ কয়েকজন মহিলা সাহাবী যুদ্ধে শরিক হয়েছেন। আর তা ছাড়া নারীদের অহঙ্কার এজন্য যে, প্রথম ইসলাম গ্রহণ যিনি করেন তিনি একজন মহিলা, তিনি হযরত খাদীজা (রা.), যিনি তদানীন্তন বৈরী পরিবেশেও নিজেকে মর্যাদার সর্বোচ্চ শিখরে অধিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছিলেন তাঁর চরিত্র সৌকর্যের জোরে, যে কারণে তাঁকে তাহিরা অর্থাৎ পবিত্র নারী খিতাবে ভূষিত করা হয়েছিল ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বেই। তিনি তদানীন্তন জানা পৃথিবীর সবচেয়ে ধনাঢ্য মহিলা ছিলেন। তাঁর বাণিজ্য সুদূর চীন পর্যন্ত সম্প্রসারিত ছিল। ইসলাম নারীদের অসূর্যম্পশ্যা বা অবরোধবাসিনী হতে বলে না, বরং নারী যাতে পণ্যসামগ্রী না হয়, বিনোদন ও ভোগের বস্তুতে পরিণত না হয়, লোলুপ দৃষ্টির শিকার না হয়, তার সম্ভ্রম যাতে বজায় থাকে সে জন্য ইসলাম যথাযথ পর্দার নির্দেশ দিয়েছে। ইরশাদ হয়েছে : মু’মিন পুরুষদের বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। এটাই তাদের জন্য উত্তম। ... মু’মিন নারীদের বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জস্থানের হিফাযত করে, তারা যেন যা সাধারণ প্রকাশ থাকে তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য-শোভা প্রদর্শন না করে, তাদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে (সূরা নূর : আয়াত ৩০-৩১)। ইসলামের পথ ধরেই নারীর মান-মর্যাদা ও অধিকার যেমন নিশ্চিত হয়, তেমনি নারী মুক্তি, নারী স্বাধীনতার পথ পরিক্রম করার দিশা পাওয়া যায়। লেখক : পীর সাহেব, দ্বারিয়াপুর শরীফ, উপদেষ্টা, ইনস্টিটিউট অব হযরত মুহম্মদ (সা),সাবেক পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ
×