ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দেবীগঞ্জ প্রজনন কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার অফিস ঘেরাও

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ৭ নভেম্বর ২০১৪

দেবীগঞ্জ প্রজনন কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার অফিস ঘেরাও

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) অধীন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের মৌসুমী শ্রমিকরা কাজের দাবিতে গত দুইদিন ধরে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রজনন বীজ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৮ সালে মৃত্তিকা সংরক্ষণ প্রকল্পের নামে ৫২০ একর জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে এ কেন্দ্র চালু হয়। ১৯৭৬ সালে কেন্দ্র বারির অর্ন্তভুক্ত করা হয়। ১৯৮১ সাল থেকে এখানে বীজ আলু উৎপাদন শুরু হয়। চলতি মৌসুমে দেড়শ’ একর জমিতে আলু বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে। কাজবঞ্চিত মৌসুমী শ্রমিকদের অভিযোগ, চলতি মৌসুমে কেন্দ্রের খামারে শ্রমিকের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত শ্রমিকদের কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। নিবন্ধিত ১৪০ জন মৌসুমী শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ৬০ জনকে কাজের সুযোগ দেয়া হয়েছে। বাকি ৮০ জনকে কাজ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। গত ২৭ অক্টোবর কেন্দ্রে আলু রোপণ শুরু হয়েছে। এসব শ্রমিক ৭৭ সাল থেকে শ্রমিক হিসেবে এ কেন্দ্রে নানা ধরনের কাজ করে আসছে। শ্রমিকরা জানায়, কেন্দ্রে কাজ করে এমন ১৪০ জন শ্রমিক মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগের জন্য মহাপরিচালক বরাবরে আবেদন করার প্রেক্ষিতে গত মৌসুম থেকে ১৪০ জনকেই মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু কিছু শ্রমিক ও কর্মকর্তার যোগসাজশে গত মৌসুমে মাত্র ৬০ জন শ্রমিককে কাজ দেয়া হয়। বঞ্চিত শ্রমিকরা অভিযোগ করে, ‘কাজ নেই মজুরি নেই শর্তে আমাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের কাজ দেয়া হয় না।’ দেবীগঞ্জ প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আবিদ হোসেন জানান, মৌসুমী শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারটা ঠিক। কিন্তু এত শ্রমিকের কাজ নেই। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
×