ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ৭ নভেম্বর ২০১৪

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

‘জামায়াতী জঙ্গী অর্থায়নে মদদ দিচ্ছে আইএসআই, ‘জেএমবির পরিকল্পনা হাসিনা খালেদা হত্যা এবং জঙ্গীদের টার্গেট ঢাকা ও দিল্লী মার্কিন দূতাবাস’ শীর্ষক দৈনিক জনকণ্ঠে ২৭,২৮-১০-১৪ তারিখ ও ৬-১১-১৪ তারিখে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারা কর্তৃপক্ষ। ইসলামী ব্যাংক জঙ্গী অর্থায়নের ব্যাপারে জরিমানা করা, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এবং ইসলামী ব্যাংক কখনই আইন ও নিয়মবহির্ভূত লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেছে। অপরদিকে হাইসিকিউরিটি কারাগারে আটক হুজি নেতা আবু জাফর ওরফে সাঈদের পিসিতে খরচের জন্য প্রতি সপ্তাহে দশ হাজার টাকা জমা হয়নি এবং গড়ে মাসিক ২৫০০-৩০০০ টাকা পিসিতে জমা হয়েছে ও কারাগারে আটক জঙ্গীদের সঙ্গে সাক্ষাত বিষয়ে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয় বলে দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদকের বক্তব্য ॥ কারাগার কর্তৃপক্ষ দৈনিক জনকণ্ঠে যে প্রতিবাদ পাঠিয়েছে তা ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়ার মতো প্রতিবাদ। আটক কোন জঙ্গীর কারা পিসিতে কোন টাকা জমা হওয়ার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সংবাদ সম্মেলন করে কারাগারে আটক জঙ্গীদের প্রতি সপ্তাহে ও মাসে কত টাকা দিচ্ছে বলে যা উল্লেখ করেছে সে কথাই লেখা হয়েছে প্রতিবেদনে। কারা কর্তৃপক্ষের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাত করে কারাগারে আটক জঙ্গীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ঘটনার অসংখ্য উদাহরণের কথা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অপরদিকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড যে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে তাতে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, তাদের মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু তারা মানিলন্ডারিং প্রকাশিত সংবাদটির কথা উল্লেখ না করে জঙ্গী অর্থায়নের প্রতিবাদ জানিয়েছে। সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, কোন জঙ্গী নেতার এই ব্যাংকের কোন শাখায় হিসাব নম্বর পাওয়া গেছে তারও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। কিন্ত প্রতিবাদলিপিতে এই তথ্যেরও উল্লেখ করা হয়নি। ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে জঙ্গী অর্থায়নের বিষয়টি ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ এবং বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাও উল্লেখ করেছে তাদের প্রতিবেদনে, যা ইতোমধ্যেই অসংখ্যবার সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের প্রতিবাদলিপি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার শামিল বলা হলে সম্ভবত অত্যুক্তি হবে না।
×