ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শচীনের আত্মজীবনী, বিস্মিত গ্রেগ চ্যাপেল

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৬ নভেম্বর ২০১৪

শচীনের আত্মজীবনী, বিস্মিত গ্রেগ চ্যাপেল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০০৭ বিশ্বকাপের আগে তৎকালীন ভারতীয় অধিনায়ক রাহুল দ্রাড়িকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ গ্রেগ চ্যাপেল সদ্য প্রকাশিত নিজের আত্মজীবনীতে এমনটাই লিখেছেন শচীন টেন্ডুলকর। তবে এমন দাবিকে অস্বীকার করেছেন চ্যাপেল। শুধু তাই নয় এতে বিস্মিতও হয়েছেন ভারতের সাবেক এই কোচ। আজ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকরের বহুল আলোচিত আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে।’ আনুষ্ঠানিকভাবে এটি প্রকাশিত হওয়ার আগেই উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। আর তাতেই বিশ্বব্যাপী আলোচনার ঝড় উঠে। তখন ভারতীয় দলের কোচ গ্রেট চ্যাপেল। হঠাৎ করেই একদিন শচীন টেন্ডুলকরের বাড়িতে যান। আর সেখানে গিয়ে রাহুল দ্রাবিড়কে সরিয়ে শচীনকে অধিনায়কত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তাব দেন। নিজের বইতে অজানা এসব কথাই তুলে ধরেছেন ব্যাটিং জিনিয়াস শচীন টেন্ডুলকর। তবে শচীনের এমন বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না দেশটির সাবেক কোচ। অস্ট্রেলিয়ার একটি ওয়েবসাইটে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চ্যাপেল বলেন, ‘আমি কোন বাকযুদ্ধে জড়াতে চাই না। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে পারি- ভারতীয় দলের কোচ থাকাকালীন সময়ে আমি কখনই দ্রাবিড়ের পরিবর্তে টেন্ডুলকরকে অধিনায়ক করার চিন্তা করিনি। তাঁর (টেন্ডুলকরের) এমন দাবির কথা শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি।’ ৬৬ বছর বয়সী গ্রেট চ্যাপেল এ সময় আরও বলেন, ‘সে সময় আমি একবার মাত্র শচীনের বাড়ি গিয়েছিলাম এবং সেটা তাঁর পুনর্বাসনকালে। তবে আমি একা নই, আমার সঙ্গে আমাদের ফিজিও এমনকি দলের সহকারী কোচও ছিলেন। আর শচীন তাঁর বইয়ে যে সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন, তারও কম পক্ষে এক বছর আগে আমি তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম।’ শচীনের বাড়িতে কাটানো সেই বিকেলের সুখস্মৃতি এখনও তরতাজা চ্যাপেলের মনে। তাই তো তিনি এটাও বলেছেন যে, ‘আমরা বেশ চমৎকারভাবে একটি বিকেল কাটিয়েছিলাম তাঁর বাড়িতে। কিন্তু সে সময় অধিনায়কত্বের কোন বিষয়ই উঠেনি।’ ২০০৫-২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন গ্রেট চ্যাপেল। ২০০৭ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয় তার দল। আর ভারতীয় দল ছিটকে পড়ার পরই গ্রেট চ্যাপেলকে বরখাস্ত করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তাঁর সময়ে ভারতীয় দলে নানা বিতর্কিত ঘটনার সৃষ্টি হয়। সে সময় দেশটির সফল ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলীকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, অনেক সিনিয়র খেলোয়াড়দেরও দল থেকে বাদ দিতে চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই কোচ। আর গ্রেট চ্যাপেলের এমন সব রহস্যময় ঘটনাগুলো নিজের বইয়ে দারুণভাবে তুলে ধরেছেন শচীন টেন্ডুলকর। গ্রেট চ্যাপেলকে একটা খ্যাতাবও দেয়া হয়েছে শচীন টেন্ডুলকরের এই বইয়ে। আত্মজীবনীতে ‘রিংমাস্টার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকর। খেলোয়াড়দের চাওয়া না চাওয়ার প্রতি কোন তোয়াক্কা করতেন না কোচ।
×