ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁ সীমান্ত থেকে বাংলাদেশীকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৬ নভেম্বর ২০১৪

নওগাঁ সীমান্ত থেকে বাংলাদেশীকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৫ নবেম্বর ॥ নওগাঁর পোরশা সীমান্তে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ভারতের অভ্যন্তরে শীতলগাছি এলাকায় মাছ ধরার সময় বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশী ওমর আলী (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেছে। তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে সেখানকার স্থানীয় থানায় সোপর্দ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী হরিসচন্দ্রপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। বুধবার সকাল ১০টায় বিজিবি-বিএসএফ অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে ঠিক এমনই তথ্য দিয়েছে বিএসএফ। আটক ওমর আলী পোরশা উপজেলার নিতপুর দিয়াড়াপাড়া গ্রামের নিয়াজ উদ্দিনের পুত্র। এ ব্যাপারে বিজিবি ১৪ ব্যাটালিয়নের নিতপুর ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার হারুন-অর-রশিদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ওমরকে ফেরত চেয়ে বিএসএফকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চিঠি দেয়া হয়। সে মোতাবেক বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের ২৩০নং মেইন পিলারের কাছে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে বিএসএফ ওমরকে সেখানকার থানায় সোপর্দ করেছে বলে জানায়। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষে ১৪ বিজিবি নিতপুর ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার হারুন-অর-রশিদ ও ভারতের পক্ষে হরিশচন্দ্রপুর ক্যাম্পের কমান্ডার পিপি রায় নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশী উপজাতীয় কনেকে ফেরত ॥ স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, রৌমারীতে বাংলাদেশী এক উপজাতীয় থেকে কনে জামান, ভারতীয় জেলে ৩ মাস সাজা ভোগের পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। মঙ্গলবার বিকেলে রৌমারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১০৬৫নং এ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত দেয়া হয়। এ সময় বিএসএফর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৫৭ ব্যাটালিয়নের সহকারী কমান্ডিং অফিসার রজিৎ সিং, মানকারচর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে সহকারী পুলিশ সুপার মনোয়ার হোসাইন এবং বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের রৌমারী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মনিরুজ্জামান ও রৌমারী থানার এস আই আবু হানিফ। বিজিবি ও পুলিশ জানায়, দু’বছর আগে রাঙ্গামাটির বাজাইছড়ি থানার ভুয়াছড়ি গ্রামের মণীষ চাকমার মেয়ে শান্তনা চাকমার (১৭) বিয়ে হয় ভারতের গোয়ালপাড়ার কৃষ্ণা থানার বরবাহান রায়ের সঙ্গে। এরপর বরবাহন রায় বাংলাদেশের ভুয়াছড়ি গ্রামে অবস্থান করছিলেন। সেখানে দুইজনে দেড় বছর ঘর-সংসার করে ২০১৩ সালে সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যান। সেখানেও মাস ছয় ঘর-সংসার করার পর খোঁজ পেয়ে পুলিশ তাকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শুধুমাত্র উপজাতি কনে শান্তনা চাকমাকে ফেরত দেয়া হয়। শান্তনা চাকমা বর্তমানে রৌমারী থানা হেফাজতে রয়েছেন।
×