ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কামারুজ্জামান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ॥ ফাঁসির প্রক্রিয়া শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ৬ নভেম্বর ২০১৪

কামারুজ্জামান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ॥ ফাঁসির প্রক্রিয়া শুরু

০ রায় শোনার সাত দিনের ভেতর রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে ০ ফাঁসির আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে আইনমন্ত্রীর নির্দেশ আরাফাত মুন্না ॥ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির দ- কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে। রায় শোনার সাতদিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা না চাইলে যে কোন সময় কামারুজ্জামানের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হবে। সোমবার আপীল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের পর রিভিউ আবেদন নিয়ে বিতর্কের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় এমনই জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দ- কার্যকরে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর আগে বুধবার দুপুরে আইজি প্রিজন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। তার পর পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর বাসভবনেও জরুরী বৈঠক করেন আনিসুল হক। এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি ছাড়া দ- কার্যকর করতে আইনগত কোন বাধা নেই। সরকার চাইলে যে কোন সময়ই কামারুজ্জামানের দ- কার্যকর করতে পারে। অন্যদিকে আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ এবং রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার আগে কামারুজ্জামানের দ- কার্যকর করলে তা বেআইনী হবে বলে দাবি করেছেন তাঁর প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। এদিকে বুধবার সকালে কামারুজ্জামানের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। দেখা শেষে এ দেখাকেই শেষ দেখা ভাবছে না বলে জানিয়েছে কামারুজ্জামানের চতুর্থ ছেলে হাসান ইমাম। কামারুজ্জামান সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছে হাসান। কারা কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুতির নির্দেশ ॥ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জেল কোড ও আইন মেনে ফাঁসি কার্যকর করার প্রস্তুতি নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রায় শোনার সাতদিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে যে কোন সময় ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলেও তিনি জানান। পূর্ণাঙ্গ রায় নয়, সংক্ষিপ্ত রায়ের লিখিত কপি থেকেই রায় কার্যকর করা যাবে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এর আগে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করার সময় দেখেছি রিভিউর আবেদনের সুযোগ বাতিল করে দিয়েছেন আপীল বিভাগ। সেটা ধরে নিয়েই বলতে পারি এবারেও রিভিউ আবেদনের সুযোগ থাকবে না। বুধবার সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে জরুরী ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ডেকে আইনমন্ত্রী কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান। এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, কামারুজ্জামানের সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে তা যখন থেকে তিনি তাঁর ফাঁসির আদেশের কথা জেনেছেন তখন থেকে ৭ দিনের মধ্যেই করতে হবে। সর্বোচ্চ আদালতে ফাঁসির আদেশ বহাল থাকার কথা এরই মধ্যে কামারুজ্জামানকে জানানো হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। আনিসুল হক বলেন, আইজি প্রিজন তাঁকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার দুপুরে আইজি প্রিজন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। তাঁর পর পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর বাসভবনেও জরুরী বৈঠক করেন আনিসুল হক। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রয়োজন নেই ॥ যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন না রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম। বুধবার নিজের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। জেল কর্তৃপক্ষ রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ রায় দেখবে না, দেখবে কি আদেশ দেয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে একটি পূর্ণাঙ্গ রায় হয়েই আছে। আপীল বিভাগ সেটাকেই বহাল রেখেছে। সেক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের কি প্রয়োজন? একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আপীল বিভাগের রায়েও মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের সামনে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ থাকলেও রায় পর্যালোচনার (রিভিউ) কোন সুযোগ নেই বলেও মত দেন তিনি। এর আগে গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর আপীল বিভাগে যুদ্ধাপরাধ মামলার প্রথম রায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার সাজা যাবজ্জীবন কারাদ- থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদ- দেন। প্রায় আড়াই মাস পর পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয় এবং সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সাজা কার্যকর হয় ১২ ডিসেম্বর রাতে। এ বিষয়ে এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে দ- পরিবর্তন হয়েছিল। আর কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রে আপীলে সাজা পরিবর্তন হয়নি। সেহেতু পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের জন্য অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। কামারুজ্জামানের রায় ‘রিভিউয়ের’ আবেদন করা হবে জানিয়ে তাঁর আইনজীবী ও সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন সংবাদ সম্মেলন করার ঘণ্টাখানেক পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এ্যাটর্নি জেনারেল। সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে ওই সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব বলেন, কামারুজ্জামানের আপীলে দ্বিধাবিভক্ত রায়ে মৃত্যুদ- বহাল থেকেছে। সংবিধানের ১০৫ ধারা অনুযায়ী এ রায় রিভিউয়ের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, যদি ১০৫ ধারার ক্ষমতা এই বিচারের ক্ষেত্রে কার্যকর নাও হয় তবুও ন্যায়বিচারের স্বার্থে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ আবেদন শুনবেন বলে মনে করি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে এ্যাটর্নি জেনারেল তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে সংবিধানের ৪৭ (ক) ধারাটি পড়ে শোনান। তিনি বলেন, ‘পুরোটাই আমি পড়ছি। যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৪৭ অনুচ্ছেদে তিন দফায় বর্ণিত কোন আইন প্রযোজ্য হয় না, সেই ব্যক্তির ক্ষেত্রে সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদ, ৩৫ অনুচ্ছেদের ১ ও ৩ দফা এবং ৪৪ অনুচ্ছেদে নিশ্চিতকৃত অধিকারসমূহ প্রযোজ্য হবে না। এখানে সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারগুলোর কথা বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘২৯তে বলা আছে, এছাড়াও এ সংবিধানে যা বলা হয়েছে তা সত্ত্বেও যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৪৭ অনুচ্ছেদের ৩ দফায় বর্ণিত কোন আইন প্রযোজ্য হয়, এই সংবিধানে বর্ণিত কোন অধিকারের জন্য সুপ্রীমকোর্টে আবেদন করার অধিকার তাদের থাকবে না। ৪৭- এর ৩ ধারা হলো- মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে যারা অভিযুক্ত তাদের জন্য। এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যেখানে এই ধারায় বলা আছে যে, এই অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য হলে সংবিধানে বর্ণিত কোন অধিকারের জন্য সুপ্রীমকোর্টে আবেদন করার অধিকার তাদের থাকবে না, সেখানে কিভাবে বলা হয় যে, আপীল রিভিউ করার ক্ষমতা তাদের রয়েছে? এর পরেও ‘শুধু সময়ক্ষেপণের জন্য’ রিভিউয়ের কথা বলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, যারা বলছে ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে তাদের কাছে জানতে চাই, এই আইনে কোথাও কি বলা আছে যে, তাদের বিচার না করা হলে অন্যদের বিচার করা যাবে না? একটা সাধারণ ব্যাপার হলো, যদি কোন অপরাধে ২০ জন জড়িত থাকে, তাদের মধ্যে তিনজন পালিয়ে যায় তাহলে কি বাকি ১৭ জনের বিচার করা যাবে না? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, আপীল বিভাগের ১০৪ ধারায় ন্যায়বিচারের কথা বলা হয়েছে। যাঁরা শাস্তি পেয়েছেন তাঁরা ন্যায়বিচারের সম্পূর্ণ সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের ধরেই শাস্তি দেয়া হয়নি। তাঁরা পূর্ণ বিচারের সুযোগ পেয়েছেন, আপীলের সুযোগ পেয়েছেন। এ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, যারা মা হারিয়েছে, বাবা হারিয়েছে, সন্তান হারিয়েছে তাদেরও তো ন্যায়বিচার পেতে হবে। ন্যায়বিচার একটি আপেক্ষিক বিষয়। যাঁরা ৪৩ বছর ধরে এ বিচারের জন্য অপেক্ষা করে আছেন, তাঁদেরও তো ন্যায়বিচার দিতে হবে। ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী কামারুজ্জামানের রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে কারাবিধি প্রযোজ্য হবে না বলেও মত দেন এ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে জেল কোড প্রযোজ্য হবে না। কিভাবে রায় কার্যকর করা হবে সে সিদ্ধান্ত সরকার নেবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই রায় কার্যকর করা হবে। তবে সরকার যদি চায় তাহলে কারা বিধিও অনুসরণ করতে পারবে বলে জানান এ্যাটর্নি জেনারেল। উল্লেখ্য, কাদের মোল্লার রায় বাস্তবায়নের সময়ই রিভিউ নিয়ে প্রথম জটিলতা দেখা দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউয়ের সুযোগ চান কাদের মোল্লা। পাশাপাশি রায় রিভিউ করে খালাসও চান তিনি। এ নিয়ে দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে আপীল বিভাগ কাদের মোল্লার পক্ষে করা দুইটি আবেদনই একসঙ্গে খারিজ করে দেন। ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি এখনও প্রকাশিত না হওয়ায় এ ধরনের মামলায় রিভিউ চলবে কিনা, সে অস্পষ্টতা এবারও কাটেনি। শেষ দেখা নয়- কামারুজ্জামানের পরিবার ॥ যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, তাঁকে ঢাকা কারাগারে স্থানান্তর নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ থাকলেও এই দেখাকে ‘শেষ’ ভাবছেন না। বুধবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট থেকে ১১টা ৮ মিনিট পর্যন্ত আধাঘণ্টার জন্য দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় তাঁদের। এ সময় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন স্ত্রী নুরুন্নাহার, চার ছেলে হাসান ইকবাল, হাসান আহমেদ, হাসান ইকরাম, হাসান ইমাম, মেয়ে আতিয়া নূর, ভাই নাজিরুজ্জামান ও আবদুল্লাহ আল মাহাদী, বোন মোহসীনা বেগম ও ভাগ্নে আবদুল আলিম। দেখা করে বেরিয়ে এলে কামারুজ্জামানের চতুর্থ ছেলে হাসান ইমামের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁরা এই দেখাকে ‘শেষ দেখা’ মনে করছেন কিনা? জবাবে তিনি বলেন, না শেষ সাক্ষাৎ হবে কেন? এটা নিয়মিত দেখা। কাশিমপুর কারাগারে থাকতে আমরা নিয়মিত দেখা করতাম। গত ঈদেও দেখা করেছি। তাই আজ (বুধবার) দেখা করলাম। হাসান ইমাম বলেন, বাবাকে কাশিমপুর থেকে ঢাকায় আনায় আমরা চিন্তিত। আজকের দেখা শেষ দেখা তা ভাবছি না। আমরা এখনও রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাইনি। যুদ্ধাপরাধের দায়ে একাত্তরে আল বদরের ময়মনসিংহ জেলা শাখা প্রধান কামারুজ্জামানকে গত বছরের ৯ মে মৃত্যুদ- দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার আপীল বিভাগ সেই রায় বহাল রাখেন। শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুরে ১২০ জন পুরুষকে ধরে নিয়ে হত্যার দায়ে আপীল বিভাগের চার বিচারপতি সর্বসম্মতভাবে আসামি কামারুজ্জামানকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। তবে কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদ- প্রদানের বিষয়ে এক বিচারপতি ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। পরে সখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে কামারুজ্জামানের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদ-ই বহাল রেখেছেন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ।
×