ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিনিয়োগে বাধা

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ৬ নভেম্বর ২০১৪

বিনিয়োগে বাধা

বিনিয়োগের জন্যে সরকার গত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করছে। নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু এত চেষ্টা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত পরিমাণ বিনিয়োগ লাভে আমরা সক্ষম হচ্ছি না। অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পোন্নয়নের পথে এটা একটি বড় ধরনের বাধা। পর্যবেক্ষকমহল সন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা এবং যানজটকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পথে প্রধান বাধা বলে মনে করেন। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের মামলার রায় যতবারই ঘোষণা করেছে, জামায়াত-শিবির ততবারই হরতাল আহ্বানের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এটা কোন্ ধরনের মানসিকতা? এরা যে গণতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থায় বিশ্বাস করে না, তাদের কর্মকা- তারই প্রমাণ বহন করে। এর ফলে জনগণের দুর্ভোগের সীমা নেই, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সস্তা ও সহজলভ্য শ্রমের কারণে বিদেশীরা অনেকেই এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী। তারা অনেকেই একক কিংবা যৌথ উদ্যোগে শিল্প স্থাপনের জন্য বাংলাদেশে আসেন। কিন্তু হরতাল ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য সব উৎসাহই হারিয়ে ফেলেন। গত কয়েক বছর ধরে জামায়াত-শিবির যেভাবে আন্দোলনের নামে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করছে, যানবাহন ও নানা ধরনের স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করছে তা এক অনিশ্চিত অবস্থার সৃষ্টি করে। বিরোধী জোট কখনই জনগণের উন্নয়ন চায়নি। এখানে বিনিয়োগের নিরাপদ পরিবেশ গড়ে উঠলে এতদিনে অনেক কলকারখানা গড়ে উঠত। বিপুলসংখ্যক বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হতো। বিরোধী জোট এই বিপুলসংখ্যক বেকার জনগোষ্ঠীর কথা ভেবেও তাদের রাজনৈতিক কৌশল বদলাতে পারত। গত তাদের ডাকা হরতালে কেউ সাড়া দেয়নি। অর্থাৎ জনগণ তাদের ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। এক্ষেত্রে সরকারকে জনগণ এবং সর্বস্তরের ব্যবসায়ী ও কর্মজীবীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে আরও দৃঢ়ভাবে। সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে এখানে বিদেশী বিনিয়োগও যে বাড়বে তাতে সন্দেহ নেই। এছাড়া যানজট কমানোর লক্ষ্যে রাস্তার সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। ঢাকায় প্রয়োজনের তুলনায় রাস্তা কম। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যানজট সমস্যার সমাধান করতে হবে। সরকারকে অবিলম্বে বিনিয়োগের প্রধান বাধাসমূহ দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
×