স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় চার কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় টাই চলে গেছে ভূমিদস্যুদের দখলে। পাউবোর একশ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহযোগিতা ও যোগসাজশে বাঁধের পুরোটা বেদখলে চলে যাওয়ার কারণে ও ভূমিদস্যুদের সহযোগিতায় বিশাল আকারে বাণিজ্য করছে একশ্রেণীর মধ্যস্বত্বভোগী। বাঁধটির অবস্থান পুরান বাজার ও থানার সম্মুখে মহানন্দা নদীর অপর পাড়ে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে শুরু করে পিডিপি পাওয়ার স্টেশনের ওপারে খালঘাট পর্যন্ত এই বাঁধের অবস্থান। ৪ কিলোমিটার বাঁধের জমি দখল করে সহস্রাধিক বাড়িঘর, দোকানপাট, চায়ের স্টল নির্মাণ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও নির্মাণ করা হয়েছে পাকা রড সিমেন্ট দিয়ে স্থাপনা।
বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার ভবনের সামনে নদীর ওপারে পাইকড় তলায় এই ধরনের পাকা বাড়িঘর ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। একশ্রেণীর ভূমিদস্যু প্রথমে পাউবোর অসাধু কর্মচারীদের হাত করে দখলে নিয়ে পরে তা দ্বিতীয় কোন ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করে অথবা যারা নিজ থেকে বাঁধের ওপর বাড়িঘর তৈরি করেছে তাদের কাছে থেকে ভাড়া আদায় করছে পাউবোর মনোনীত দালাল বা প্রতিনিধিরা। কয়েক বছরে এই বাঁধের ওপর থেকে কয়েক হাজার বড় বড় কড়াই, সেগুন, পাইকড়, শিশু, আম, বাবলাসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এমনকি কয়েক লাখ একর জমি চাষাবাদের পানি সেচ ও জলকর হিসেবে ব্যবহৃত ভাতারমালী বিলের জন্য এই বাঁধের ওপর মহানন্দার মুখে যে মরিচার দাঁড়াতে বিশাল সøুইস গেটটি নির্মাণ করা হয়েছে সেটি নিয়েও পাউবোর এক শ্রেণীর কর্মচারী বাণিজ্যে নেমেছে। বিশেষ করে বর্ষা শুরুর প্রথম দিকে সøুইস গেট হয়ে মহানন্দার পানি বিলে প্রবেশের সময় ও বন্যা শেষে উদ্ধৃত্ত বন্যার পানি বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা হয়। কিন্তু এই মাছের পয়সা সরকারী কোষাগারে না গিয়ে পাউবোর কর্মচারীদের পকেটে চলে যায়। এ ছাড়াও মরিচার দাঁড়া সø্ইুস গেটের কাছাকাছি এলাকার ফাঁকা জমি নিয়েও বাণিজ্য করা হচ্ছে। বন্যার সময়ে বালু ব্যবসায়ীরা মহানন্দা থেকে বালু উত্তোলন করে মরিচার দাঁড়া সøুইস গেটসংলগ্ন পাউবোর ফাঁকা জায়গায় সেই বালু মজুদ করে। এই ফাঁকা জায়গা সরকারীভাবে লিজ না দিয়ে বালু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্ক আদায় করে পাউবো কর্মকর্তা কর্মচারীরা পকেট ভরে। নির্বাহী প্রকৌশলী নাসিরুউদ্দীন আহমেদ জানান, অবৈধ স্থাপনার ব্যাপারে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ ও উচ্ছেদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। অন্যান্য অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে বলে জানান।