ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাশকতা এড়াতে পুলিশের অভিযান, গ্রেফতার ১৭

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ৪ নভেম্বর ২০১৪

নাশকতা এড়াতে পুলিশের অভিযান, গ্রেফতার ১৭

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নাশকতা এড়াতে সাতক্ষীরায় জামায়াত-শিবিরের ১০, গাইবান্ধায় তিন ও লক্ষ্মীপুরে চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানোÑ সাতক্ষীরা ॥ জেলায় হরতালে নাশকতা এড়াতে জামায়াত-শিবিরের ১০ কর্মীসহ মোট ৩৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জামায়াত কর্মী শাহানুর, আব্দুর রহমান, আবু হাসান, আব্দুর রশিদ ও আব্দুল আলিম, কালীগঞ্জের শিবিরকর্মী আতিয়ার রহমান ও জামায়াত কর্মী সাইদুজ্জামানের নাম জানা গেছে। গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধার তিন স্থানে এক ইউনিয়ন আমীরসহ জামায়াতের ৩ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওই নেতা কর্মীদের শনিবার রাতে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবু সাঈদ রাজু (৫০), সুন্দরগঞ্জের ছাপড়হাটি ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের জামায়াত কর্মী আমিরুল ইসলাম (৩৮) এবং সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের খামার টেংগরজানি গ্রামের জামায়াত কর্মী দীপ্তি ম-ল (৩৮)। তাদের বিরুদ্ধে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কেন্দ্রে সহিংসতাসহ সন্ত্রাসী কর্মকা-ের অভিযোগে মামলা রয়েছে। লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরে চার শিবির কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে দু’জনকে রায়পুরের উদমারা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হচ্ছে, আকবর আলীর ছেলে আরিফ হোসেন ও মিছির আলীর ছেলে আজগর আলী। সদর উপজেলার দালালবাজার থেকে গ্রেফতারকৃত অপর দু’জন হচ্ছে ফিরোজ আলম ও ইসমাইল হোসেন। এদের রবিবার মধ্যরাত ও বিকেলে গ্রেফতার করা হয়। দৌলতপুরে ধর্ষণ মামলা না নেয়ায় ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, ৩ নবেম্বর ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় থানায় ধর্ষণ মামলা না নেয়ায় ওসি এনামুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষিতার পিতা অভিযোগ করেছেন। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের রিপন আলীর ৬ বছরের এক শিশুকন্যা বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী লিচু বাগানে খেলার সময় একই এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে শনিরুল ইসলাম (১৬) তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষিতা শিশুর আর্তচিৎকারে প্রতিবেশী ও বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ধর্ষিতা শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা শিশুর পিতা রিপন আলী ঘটনার দিন রাতে দৌলতপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করতে গেলে থানার ওসি এনামুল হক মামলা না নিয়ে তাকে গালমন্দ করে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে থানা থেকে তাড়িয়ে দেন।
×