ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিরীয় বিদ্রোহীদের উত্তরাঞ্চলীয় ঘাঁটি ইদলিরের পতন

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ৪ নভেম্বর ২০১৪

সিরীয় বিদ্রোহীদের উত্তরাঞ্চলীয় ঘাঁটি ইদলিরের পতন

বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দখল করেছে আল কায়েদা জঙ্গীরা মার্কিন সমর্থিত সরকারবিরোধী মধ্যপন্থী সিরীয় বিদ্রোহীদের উত্তরাঞ্চলে তাদের প্রধান শক্ত ঘাঁটি থেকে রবিবার সম্পূর্ণভাবে হটিয়ে দিয়েছে আলকায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত যোদ্ধারা। ওই ঘাঁটি থেকে এই যোদ্ধারা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অস্ত্র সম্ভার দখল করেছে এবং মধ্যপন্থী সিরীয় বিদ্রোহীরা ব্যাপকভাবে পক্ষত্যাগ শুরু করেছে। এটি ওবামা প্রশাসনের সিরিয়াবিষয়ক কৌশলে বড় ধরনের একটি ধাক্কা এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়তে সিরীয় সহযোগী পাওয়ার যে আশা ওয়াশিংটন করেছিল, তাও শেষ হয়ে গেল। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইনের। যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রশস্ত্র ও প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও সিরীয় মধ্যপন্থী বিদ্রোহী গ্রুপ ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সদস্যরা আল কায়েদার দলছুট জাবহাত আল নুসরা গ্রুপের কাছে আত্মসমর্পণ করছে অথবা পক্ষ ত্যাগ করছে। উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবের শহর ও গ্রামগুলো সিরীয় মধ্যপন্থী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বিদ্রোহী কমান্ডার, মানবাধিকার কর্মী ও বিশ্লেষকদের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে। জঙ্গীদের অগ্রগতির ফলে অন্য মধ্যপন্থী যোদ্ধারা তুরস্ক সীমান্তে পালিয়ে গেছে যা বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর পরাজয়ের বার্তাই ঘোষণা করছে। আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিদ্রোহী বাহিনীকে আত্মরক্ষার উপায় হিসেবে মনে করত ওয়াশিংটন। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে মধ্যপন্থীদের এখনও শক্ত অবস্থান রয়েছে। তবে সেখানে আইএস বড় হুমকি নয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের এক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেছেন, পেন্টাগন সিরিয়ায় মধ্যপন্থীদের অগ্রগতি যতটা সম্ভব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে সেখান থেকে পাওয়া রিপোর্টগুলো নিরপেক্ষ সূত্রে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। জাবহাত আল নুসরাকে সিরীয়রা অনেক আগে থেকেই কম উগ্রপন্থী বলে গণ্য করে। চলতি বছরের শুরুর দিকে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মধ্যপন্থী বিদ্রোহীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিল তারা। কিন্তু তারা যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় আছে এবং সিরিয়ার একমাত্র সংগঠন হিসেবে তারা মূলধারার আল কায়েদার নেতৃত্বে প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে আনুগত্য স্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র যখন সিরিয়ায় সেপ্টেম্বর মাসে বিমান হামলা শুরু করে তখন তাদের অন্যতম প্রথম লক্ষ্য ছিল জাবহাত আল নুসরার ঘাঁটি। মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন, এই হামলার ফলে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, সেটিকে নুসরা গ্রুপ মধ্যপন্থী বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করতে কাজে লাগিয়েছে। ইদলিবের এক বিরোধী নেতা রায়েদ আল-ফারেস বলেছেন, আল নুসরা গ্রুপের ওপর মার্কিন বিমান হামলা চালালে তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে জনগণ। কারণ নুসরা সিরীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, আর মার্কিন বিমান হামলা সরকারকে সহায়তা করছে। এখন জনগণ মনে করছে সরকারের এজেন্ট হিসেবে ফ্রি সিরিয়ার আর্মি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাচ্ছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকার ও আইএসের বিকল্প হিসেবে ফ্রি সিরিয়ার আর্মি গঠন করা হয়েছিল।
×