ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কলিম শরাফী বাংলা সঙ্গীতের বাতিঘর ॥ তপন মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১ নভেম্বর ২০১৪

কলিম শরাফী বাংলা সঙ্গীতের বাতিঘর ॥ তপন মাহমুদ

বরেণ্য শিল্পী কলিম শরাফীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে আজ সন্ধ্যায় এক স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা। এ আয়োজন নিয়ে সংস্থার সভাপতি, রবীন্দ্রগানে নিবেদিত শিল্পী তপন মাহমুদের সঙ্গে কথা হয়। আজকের কলিম শরাফী স্মরণানুষ্ঠান সম্পর্কে বলুন.. তপন মাহমুদ : অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছি প্রফেসর এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তিনি শ্রদ্ধেয় কলিম শরাফীর স্মৃতিচারণ করবেন। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন প্রবীণ শিল্পী শাহজাহান হাফিজ, শিল্পী ফাহমিদা খাতুন ও অনুপ ভট্টাচার্য। আরও থাকবে শিল্পীর উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী। প্রামাণ্যচিত্রের পটভূমিকা আলোচনা করবেন নির্মাতা নিশাত জাহান রানা। এছাড়া সংস্থার শিল্পীদের সম্মেলক গানও পরিবেশিত হবে। বাংলা সঙ্গীতে কলিম শরাফীর অবদান সম্পর্কে বলুন... তপন মাহমুদ : রবীন্দ্রসঙ্গীত যে সময় পূর্ব পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ছিল, তারও আগে থেকে পাকিস্তানী শাসকদের এ সঙ্গীতের প্রতি সবসময় বৈরী আচরণ ছিল। সে সময়ে সব বাধা উপেক্ষা করে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা করেছেন কলিম শরাফী। এ কারণে তিনি কোন এক সময়ে ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হন। চট্টগ্রামে থেকেই বিভিন্নভাবে গানকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করতেন। তাঁর যৌবনের অসাধারণ কণ্ঠ সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। যারা তখন তাঁর গান শুনেছে তারাই বলতে পারবে তিনি কেমন কণ্ঠের অধিকারী ছিলেন। বাংলা সঙ্গীতে তাঁর মতো শিল্পী খুব কমই এসেছেন। গানের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মিশে যেতেন তিনি। প্রগতিবাদী ছিলেন। জীবনের শেষ দিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের সংগঠিত করার চেষ্টা করেছেন, বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে। তিনি আমৃত্যু বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি ছিলেন। কলিম শরাফী স্মরণে সংস্থার পক্ষ থেকে কোন পরিকল্পনা আছে কী? তপন মাহমুদ : কলিম শরাফী বাংলা সঙ্গীতের বাতিঘর। রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘কলিম শরাফী স্মৃতি পদক’ প্রদান চালু করেছি এ বছর থেকে। তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য আমাদের এই প্রয়াস। তাঁকে ঘিরে আগামীতেও আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথের প্রয়োজন কতটা সময়োপযোগী? তপন মাহমুদ : সব অবস্থায়ই রবীন্দ্রনাথের প্রয়োজন রয়েছে। যেমন ধরা যায় রবীন্দ্রনাথের ‘দিকে দিকে নাগিনীরা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস, শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস’ বর্তমান সময়ে এটা বেশি প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’ গানটির মূল তাৎপর্য হলো হে প্রভু তুমি আমাকে শান্ত করে দাও। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম দুরাবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথকে আরও সুগম করে তোলে। তাঁর গান আমাদের শান্তি দিতে পারে। শুধু গান নয়, তার কবিতা ও বিভিন্ন লেখা সব সময়ই আমাদের পথ চলার সাথী। আপনার মতে নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা কেমন গাইছেন? তপন মাহমুদ : অনেকই খুব ট্যালেন্ট এবং তারা মূল ধারার গানই করছেন। তবে খুব কম সংখ্যক আছেন যারা এই ধারা থেকে সরে যাচ্ছেন। তাছাড়া বেশিভাগ শিল্পীরা খুব ভাল গান করছেন এবং তারা অনেক শিক্ষিত। -গৌতম পাণ্ডে
×