ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাউফলে পোস্ট অফিসের কাজ চলে বাড়ি ও দোকানে

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১ নভেম্বর ২০১৪

বাউফলে পোস্ট অফিসের কাজ চলে বাড়ি ও দোকানে

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৩১ অক্টোবর ॥ বাউফল উপজেলা পোস্ট অফিসসহ ৩টি সাব-পোস্ট অফিস ও ৪৪টি শাখা অফিসের বেহাল অবস্থা। কাজকর্ম হয় পোস্টমাস্টারের বাড়ি ও দোকানপাটে বসে। সরকারের এসব পোস্ট অফিস থেকে বছরে কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব আয় হলেও অবকাঠামোর কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। ফলে দাফতরিক কাজকর্ম সম্পন্ন করতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাউফল উপজেলা পোস্ট অফিসের অধীনে ১০টি, কালাইয়া সাব- পোস্ট অফিসের অধীনে ৪টি, কালিশুরী সাব-পোস্ট অফিসের অধীনে ১৬টি ও বগা সাব-পোস্ট অফিসের অধীনে ১৪টিসহ মোট ৪৪টি শাখা অফিস রয়েছে। এর মধ্যে কালাইয়া ও কালিশুরী সাব-পোস্ট অফিস চলছে ভাড়া ঘরে, বাকি ৪৪টি শাখা অফিসের নিজস্ব কোন ভবন নেই। উপজেলা পোস্ট অফিসে ১ জন পোস্টমাস্টার, ২ জন পোস্টম্যান, ১ জন অপারেটর, ১ জন স্ট্যাম্প ভেন্ডার, ১ জন প্যাকার, সাব-পোস্ট অফিসে ১ জন পোস্টমাস্টার, ১ জন রানার, ১ জন অপারেটর ও ১ জন কেরানী এবং শাখা অফিসে ১ জন পোস্টমাস্টার, ১ জন পোস্টম্যান ও ১ জন রানার থাকার কথা থাকলেও সেখানে অর্ধেকেরও কম রয়েছে। শাখার অফিসগুলোতে কাজকর্ম হয় পোস্টমাস্টারের বাড়ি কিংবা কোন বাজার বা হাটের দোকানপাটে বসে। পোস্টমাস্টার সেখান থেকে গ্রাম হিসেব করে চিঠিপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ডকুমেন্ট, পার্সেল বা মানিঅর্ডার সরবরাহ করেন। উপজেলা পোস্ট অফিস থেকে দৈনিক এসব চিঠিপত্র সাব-পোস্ট অফিস ও শাখা অফিসগুলোতে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা প্রতিদিনের চিঠি বিলি করেন না। সপ্তাহে একদিন বা হাটের দিন চিঠিপত্র বিলি করেন। আগে পোস্ট অফিসগুলোর সামনে লেটার বক্স থাকলেও এখন আর তা নেই। লেটার বক্সগুলো ভেঙ্গে যাওয়ার পর নতুন করে আর সরবরাহ করা হয়নি । নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাখা অফিসের কয়েকজন পোস্টমাস্টার অভিযোগ করেন, পরের ঘরে থেকে সরকারী কাজকর্ম করলেও তাদের তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় না। বাউফল উপজেলা পোস্টমাস্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে কোন অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়নি। এমনকি উপজেলা পোস্ট অফিসে পোস্টমাস্টারের কোন ট্রেজারী রুম নেই।
×