ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্ব করে সংবিধান সংশোধন করা হবে না

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ৩১ অক্টোবর ২০১৪

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্ব করে সংবিধান সংশোধন করা হবে না

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচন নিয়ে কিছু ব্যক্তি ও দলের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেছেন, আগামী নির্বাচন সময়মতোই হবে। গণতান্ত্রিক বিধি-ব্যবস্থায় একটি নির্বাচনের পর আরেকটি নির্বাচন আসে এটাই স্বাভাবিক। যে কোন সময় নির্বাচন দেয়ার ক্ষমতা সরকারের থাকে। সংবিধান অনুযায়ী একটি সরকারের মেয়াদ ৫ বছর। তাই পরের নির্বাচন সময়মতোই হবে। তবে কবে হবে সেটা যে যার মতো করে বুঝে নিক। যে যার মতো যা বুঝতে চায়, বুঝে নিক। আমি তো বুঝিয়ে দিতে পারব না। ‘প্রধানমন্ত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর ব্যর্থ’Ñবিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সবকিছুতে ব্যর্থ, তারাই অন্যের কাজের ব্যর্থতা খোঁজে। ব্যর্থতা খোঁজাই বিএনপির মজ্জাগত অভ্যাস। কারণ তারা প্রতি পদে পদে ব্যর্থ হয়েছে। যারা জনগণের ভোট পাবে না জেনে নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যর্থ হলো, নির্বাচন ঠেকানোর জন্য আন্দোলনের হুমকি দিয়ে মানুষ হত্যা ও জানমালের ক্ষতি করল। নির্বাচন বানচাল করতে ৫০০ স্কুল পোড়াল, পুলিশ ও প্রিসাইডিং অফিসারকে হত্যা করল। কিন্তু সেখানেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। যারা প্রতি পদে পদে ব্যর্থ তারা তো ব্যর্থতাই দেখবে। ওরা (বিএনপি) আমাদের ব্যর্থতা দেখে যাক, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এই বিএনপি-জামায়াত জোটই ক্ষমতায় থাকতে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। মাত্র ৫ বছরে আমরা সে অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে তুলে এনেছি। বাংলাদেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। বৃহস্পতিবার গণভবনে জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। তাঁর সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে অর্জিত সাফল্য দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতেই এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, আরব আমিরাতে শ্রমবাজার চালু, ভারতে বাংলাদেশের জঙ্গী তৎপরতাসহ দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রবাসী ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা ও দলীয় সংসদ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জানা উচিত যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে আমাদের দেশের আইনে। আইনটি আন্তর্জাতিক মানের। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই এ বিচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার নতুন কিছু নয়। আর আমাদের দেশে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে, লুটপাট করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছেÑআমরা তাদের বিচার করছি। এখন তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা শুনি! ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের বিচার এখনও চলছে কেন? কেন তারা বন্ধ করেনি? তাদের (ইইউ) আমি জিজ্ঞাসা করি, যখন গাজায় ইসরাইলীরা নির্বিচারে অসংখ্য শিশুকে হত্যা করল, শত শত ছাত্রছাত্রী, মা-বোন এমনকি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলোÑতখন তো ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখে মানবাধিকারের কথা শুনিনি। তখন তারা কোন কথা বলেনি কেন? একাত্তরে যারা গণহত্যা করেছে আমরা তাদের বিচার করছি। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের অধিকার রক্ষায় তাদের এ উদ্বেগ প্রকাশ কেন? তাহলে কিভাবে আমরা জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস দমন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ কমাব? তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, আমরা দেশের নিজস্ব আইনে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিচার করছি, এ বিচার চলবে। ভারতের পত্রপত্রিকায় খবর আসছে জেএমবি সংগঠিত হচ্ছে, কিছুই যদি না থাকে তাহলে তালিকা কেন করছে? তারা আপনাকেও হত্যার পরিকল্পনাও করছিল? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের তৎপরতা নতুন কোন বিষয় নয়। তবে জঙ্গী তৎপরতা আমরা কমিয়ে এনেছি। ভারতে কিছু কিছু জঙ্গী ধরা পড়েছে, সেখানে আমরা তথ্য নিচ্ছি। আমাদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। জঙ্গী তৎপরতা রোধ করায় ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে একমত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই। আমি এক্সটেনশন লাইফে আছি। ’৭১ সালেও হামলা হয়েছে। ’৭৫ সালে ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়ার কারণে বেঁচে গেছি। আবার ’৮১ সালে যখন দেশে আসি তখন থেকে বার বার আমার ওপর আক্রমণ হয়েছে। চট্টগ্রামে, ধানম-ির ৩২ নম্বরে, পান্থপথে বহুবার হামলা হয়েছে। বোমা মারা হয়েছে। সর্বশেষ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাও করা হয়েছে। তাতেও মরিনি। এ সব মোকাবেলা করেই আমি রাজনীতি করে যাচ্ছি। জন্ম নিলে মৃত্যু অবধারিত। তাই আমি মৃত্যুকে ভয় করি না, উদ্বিগ্নও নই। আল্লাহ্ আমাকে দিয়ে দেশের যতটুকু কাজ করার জন্য বাঁচিয়ে রেখেছেন, সেসব কাজ করে যাব। যখন দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে পারব, তখনই আমি ছুটি নেব। তার আগে নয়। আগামী ২০২১ সালের আগেই দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য নির্বাচন করতে হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপিকে আনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা করেছিলাম। এমনকি বিএনপি নেত্রীকে ফোন পর্যন্ত করেছিলাম। কিন্তু তারা নির্বাচনে অংশ তো নেয়ইনি বরং নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচন না হলে কী হতো? ১/১১-এর ধাক্কা তো এর আগে সামলাতে হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে না এসে বানচালের নামে বিএনপি নেত্রী দেশকে আবারও অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ ক্ষেত্রেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। একটা নির্বাচন হলে তো আরেকটা নির্বাচন আসবেই। নির্বাচন সময়মতোই হবে। যে যার মতো যা বুঝতে চায়, বুঝে নিক। আমি তো বুঝিয়ে দিতে পারব না। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য সরকার নির্বাচন করে। এর আগে কোন সরকারই পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকেনি। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে আমরাই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলাম। যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে, আগামীতে যদি কোন সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলে তারা বর্তমান সংবিধানের আইনানুযায়ী রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমার ফলে খালাস পাবেÑএক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন আছে কিনা, জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা করা যাবে না। কারণ আমরা একটি রাষ্ট্র চালাই, রাষ্ট্রপতির কাছে দেশের জনগণের একটি অধিকার থাকে। কাজেই নাগরিকের অধিকার মহামান্য রাষ্ট্রপতির; এ ক্ষমতা খর্ব করা ঠিক হবে না। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্ব করে সংবিধান সংশোধন করা হবে না। বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষকে যেন ঘরবাড়ি বিক্রি করে এখন আর বিদেশে যেতে না হয়- সে জন্য প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক করে দিয়েছি। আমি আহ্বান জানাব, অনেকেই অনেক রকম প্রলোভন দেখাবে। কিন্তু খোঁজখবর না নিয়ে কেউ যেন বিদেশে না যায়। আর বিদেশে গেলে সবাই যেন সে দেশের আইনকানুন মেনে চলে। আরব আমিরাতে এক হাজার গৃহকর্মী নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই গৃহকর্মীর কাজে যাঁরা যাবেন তাঁদের একটি পয়সাও খরচ করতে হবে না। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রবাসী ব্যাংক থেকে ঋণ দিয়ে বিনা পয়সায় সবাইকে পাঠানো হবে। আরব আমিরাত সফরকালে সে দেশের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে কোনকিছু বলেছেন কিনাÑএমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে সেখানে কোন কথাই হয়নি, কোন আলোচনাতেও ছিল না। বরং আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী একজন কবিও বটে! তিনি মরুভূমি ঘুরে ঘুরে কবিতা লেখেন। আমি তাঁকে বলেছি, বাংলাদেশে আসুন, এ দেশের বৃষ্টি দেখে কবিতা লিখুন। আমিরাত সফর অত্যন্ত সফল ॥ সকল বিবেচনায় তাঁর আরব আমিরাত সফর অত্যন্ত সফল দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইস্যুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমার গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। আমার সফরের ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশীদের জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এর পাশাপাশি সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্রেও দুই দেশের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, সফরের সময় আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট নিয়ে আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেছি। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গী তৎপরতা বৃদ্ধিতে আমাদের উদ্বেগের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় দুই দেশ আরও ঘনিষ্ঠভাবে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে একমত পোষণ করি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশেষভাবে মূল্যায়ন করে। তাই বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় করা এবং সেদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আমার এ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী অবদান রাখবে বলেই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। বাংলাদেশীদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে সব বাধা দূর করতে সেদেশের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানানো হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনগণ, সরকার ও বিভিন্ন নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশীদের কর্মদক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার প্রশংসা করেছেন। তবে কিছুসংখ্যক বাংলাদেশীর অপরাধপ্রবণতা ও স্থানীয় আইন ভঙ্গ করা, অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় ইত্যাদি বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃবৃন্দ তাঁদের উদ্বেগের কথা জানান। শ্রম রফতানির সামগ্রিক প্রক্রিয়ার আমূল সংস্কার, শ্রমিকদের নৈতিক ও বৈষয়িক মানোন্নয়নে আমার সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের বিষয়ে আমি সে দেশের নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরকালে দুই দেশের বিভিন্ন সহযোগিতার লক্ষ্যে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিগুলো হলো- নিরাপত্তা সংযোগিতা সংক্রান্ত, দ-প্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্থানান্তর চুক্তি এবং ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস ভবন স্থাপনের জন্য প্লট হস্তান্তর চুক্তি। তিনি বলেন, নিরাপত্তা সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তির আওতায় সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, দুর্নীতি, মানবপাচার, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান, মানি লন্ডারিং, সাইবার ক্রাইম, জালিয়াতি ইত্যাদি বিষয়ে অপরাধ মোকাবেলা করার লক্ষ্যে তথ্য, অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তির আদান-প্রদানসহ অন্যান্য সম্ভাব্য উপায়ে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একে অপরকে সহযোগিতা করবে।
×