ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাকিস্তানের অপরিবর্তিত দল

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ২৯ অক্টোবর ২০১৪

পাকিস্তানের অপরিবর্তিত দল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুবাই টেস্টে পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়াকে ২২১ রানে বিধ্বস্ত করে এগিয়ে গেছে মিসবাহ-উল হকের দল। উন্নতি হয়েছে র‌্যাঙ্কিংয়েও, চিরশত্রু ভারতকে পেছনে ফেলে পাকিরা উঠে এসেছে পঞ্চমস্থানে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে আবুধাবিতে শুরু হতে যাওয়া সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দলে তাই পরিবর্তন আনেননি পাকিস্তানী নির্বাচকরা। অপরিবর্তিত দল নিয়েই অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে মাঠে নামবে তারা। প্রধান নির্বাচক মঈন খান দ্বিতীয় টেস্টের জন্য দল অপরিবর্তিত রাখার পাশাপাশি প্রথম ম্যাচের সাফল্যে মিসবাহদের ধন্যবাদ দেন। দুই ইনিংসেই জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইতিহাসে জায়গা করে নেয়া ইউনুস খানের ভূয়সী প্রশংসা করেন সাবেক অধিনায়ক। ‘প্রথম টেস্টে ছেলেদের পারফর্মেন্সে নির্বাচকদের সবাই খুশি। ম্যাচে সবাই দারুণ খেলেছে। ইউনুসের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। কারণ গত কয়েকটি সিরিজে হারের কারণ ছিল ব্যাটিং ব্যর্থতা। দুবাইয়ে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিয়েছে ইউনুস। আশা রাখি আবুধাবিতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’ বলেন প্রধান নির্বাচক। সাম্প্রতিক ব্যর্থতা, সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রধান বোলার সাঈদ আজমলের না থাকা, নানা সমস্যার মাঝেও দুবাইয়ে মিসবাহদের পারফর্মেন্স ছিল দুর্দান্ত। দুর্ধর্ষ অসিদের উড়িয়ে দিয়েছে তারা। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে দারুণ সব নজির স্থাপন করেছেন ইউনুস। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রান করে আউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। এর মধ্য দিয়ে সাবেক তারকা ইনজামম-উল হককে (২৫) পেছনে ফেলে দেশটির টেস্ট ইতিহাসের সর্বাধিক ২৬ সেঞ্চুরির মালিক হন তিনি। ক্যারিয়ারের ৯২তম টেস্টে দেশের হয়ে এ রেকর্ড গড়েন ইউনুস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ও পাকিস্তানের হয়ে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ব্যাট হাতে অবদান ছিল অপর দুই সেঞ্চুরিয়ান সরফরাজ আহমেদ আর আহমেদ শেহজাদেরও। সঙ্গে আজমললের অভাব ভুলিয়ে দেয়া দুই নবীন স্পিনার জুলফিকার বাবর ও ইয়াসির শাহর। ম্যাচে প্রতিপক্ষের ১৪ উইকেটই ভাগাভাগি করেছেন তারা। সঙ্গে হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে ফর্মে ফেরা মিসবাহর উজ্জীবিত নেতৃত্ব। এমন স্বপ্নীল পারফর্মেন্সের পর দ্বিতীয় টেস্টে দলে পরিবর্তনের কারণ খুঁজে পাননি মঈন খানরা। তবে কোচ ওয়াকার কিন্তু সতর্ক করে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া এমন এক দল যারা যে কোন পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম। অস্ট্রেলিয়াকে এ্যাশেজে হোয়াইটওয়াশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় জয়ের পর ক্লার্করা এখানে এসেছে। ওয়ানডেতেও আমাদের দাঁড়াতেই দেয়নি। পাকিস্তান দল ॥ মিসবাহ-উল হক (অধিনায়ক), আহমেদ শেহজাদ, আসাদ শফিক, আজহার আলি, এহসান আদিল, হারিস সোহেল, ইমরান খান, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ তালহা, রাহাত আলি, সরফরাজ আহমেদ, শান মাসুদ, তৌফিক উমর, ইয়াসির শাহ, ইউনুস খান, জুলফিকার বাবর।
×