ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২৯ অক্টোবর ২০১৪

সম্পাদক সমীপে

রাতে মশা দিনে মাছি বর্ষার পানি চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর ময়লা পানি নদীতে নেমে আসার কারণে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে গেছে বহুগুণ। শীতের প্রকোপ তেমন একটা পড়েনি। এলাকাবাসীর ধারণা শীতের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মশার উপদ্রব আরও বৃদ্ধি পাবে। তখন ঘরেই থাকা দায় হবে। বর্ষায় জোয়ারের পানির কারণে নদীর পানি পরিষ্কার ছিল। তাই মশার আক্রমণও কম ছিল। বর্ষা চলে যেতেই পচা পানি নদীতে আসতে থাকায় মশার জ্বালা বাড়তে থাকে। রাজধানী ঢাকার পাশে থেকে ঢাকা শহরের সুযোগ-সুবিধা না পেলেও ঢাকার পয়ো-আবর্জনার কারণে পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা এখন যারপরনাই কষ্টে আছে। রাজধানী ঢাকা শহরের পূর্বাঞ্চলে এখন মশা ও মাছির উপদ্রব অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। যত্রতত্র ময়লা আর্বজনা ডোবা ও লেকগুলো কচুরিপানায় পূর্ণ হয়ে থাকায় পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতলের কারণে স্যুয়ারেজের পানি ঠিকমতো নামতে না পারায় নদী খালের পানিতে অতিমাত্রায় দূষণের কারণে মশা ও মাছির এই উপদ্রব। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, দিনে মাছির জ্বালা আর রাতে মশার খেলা। ঘরে-বাইরে সবখানে একই অবস্থা। নগরীজুড়ে মশার উপদ্রব এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে কয়েল, স্প্রে ও মশারি ব্যবহার করেও এদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। নজরুল ইসলাম লিখন টিচার্স ট্রেনিং কলেজ চাই কুষ্টিয়া বাংলাদেশের পুরনো ও জনবহুল একটি জেলা। জেলার শিক্ষিতের হার প্রায় ৩০%। এখানে রয়েছে শতাধিক নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কিন্তু এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য কোন সরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ নেই। দুই-একটি বেসরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থাকলেও তা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ সামগ্রী ও অবকাঠামোর অভাব দেখিয়ে এগুলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বর্তমানে বন্ধ ঘোষণা করেছে। যার ফলে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার শিক্ষকদের কষ্ট করে ও বহু অর্থ ব্যয় করে যশোর, পাবনা অথবা রাজশাহী সরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভর্তি হয়ে বিএড ও এমএড প্রশিক্ষণ নিতে হচ্ছে। এ কারণে সময়মতো অনেকে প্রশিক্ষণ নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। জেলার কুমারখালীতে অবস্থিত আলাউদ্দিন আহমেদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজটি পুনরায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য চালু করা হলে কষ্ট কিছুটা লাঘব হতো।সুতরাং বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার শিক্ষকদের বহুদিনের কষ্টের দিকে তাকিয়ে এখানে অবিলম্বে একটি সরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ স্থাপনসহ কুমারখালীতে অবস্থিত আলাউদ্দিন আহমেদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজটি পুনরায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য চালু করার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কৃপাদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মোঃ মোশতাক মেহেদী কুষ্টিয়া। পেনশনার সঞ্চয়পত্র টাকার মুনাফা করমুক্ত রাখুন সরকারী নিয়মানুযায়ী ৫৯ বছর বয়সে বৃদ্ধ হন বলেই তো সরকারী কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করানো হয়। চাকরিকালে তারা দেশ ও জনগণের সেবা করার পর অবসরে গিয়ে বৃদ্ধরা পান সামান্য কিছু অর্থের পেনশন। এই পেনশনার বৃদ্ধদের জীবন আর ক’দিনেরই বা। শেষ বয়সে এসে তাঁরা যেটুকু পেনশন পান তা দিয়ে তো তাঁদের সংসার চলে না। পাশাপাশি পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনে মুনাফার পুরো টাকাটা যে পাবেন সে সুযোগটুকুও বৃদ্ধদের ভাগ্যে নেই। অর্থাৎ মুনাফার ওপর পেনশনার সঞ্চয়পত্র গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে আয়কর। মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধদের কাছ থেকে এটা না নিলে কি নয়? বৃদ্ধদের ওপর করের বোঝা বাড়িয়ে দিয়ে লাভ কী! শেষ বয়সে তাদের কষ্ট দেয়া উচিত নয়। এ অবস্থায় পেনশনার সঞ্জয়পত্রের টাকার মুনাফা করমুক্ত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি। লিয়াকত হোসেন খোকন রূপনগর আবাসিক এলাকা, ঢাকা। অদক্ষচালকদের জন্য অদক্ষ, অনবিজ্ঞ, স্বল্পশিক্ষিত বাসচালক প্রতিনিয়ত যাত্রীদের রক্ত চায়। এই অসভ্য জাত রক্তপিপাসু। ড্রাইভারজাত যতই অভিজ্ঞ হোক, তারপরও অনবিজ্ঞ। কারণ সভ্যতা অর্জনে, মানবতা রক্ষায় শিক্ষা একান্ত অপরিহার্য। এদের শিক্ষা নেই, সভ্যতা নেই, মানবতা নেই। কুশিক্ষায় শিক্ষিত। শৈশব থেকেই এই শ্রেণী গাড়ি ধোয়া-মোছা, পরে হেলপার এবং অর্থের বিনিময়ে ড্রাইভার সনদ সংগ্রহ করে অভিজ্ঞ চালক বনে যায়। চালক হতে লাইসেন্স পেতে যদি শিক্ষার প্রয়োজন না হয় তাহলে এদের হাতে লাখ লাখ যাত্রী ও পথিক মৃত্যুবরণ করছে অজ্ঞতার কারণে। শিক্ষা অজ্ঞতাকে দূর করে। প্রতিবছর যে হারে মানুষ মারা যাচ্ছে দুর্ঘটনায় অনবিজ্ঞ চালকের কারণে, তার বিন্দুমাত্র প্রতিকার না করে কোন মন্ত্রী যখন অসভ্য চালকের পক্ষ নেয়, তখন কান্না ছাড়া আর অন্য কোন পথ থাকে না। কমপক্ষে পঞ্চম শ্রেণী উত্তীর্ণ হেলপার অভিজ্ঞতার আলোকে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়মবিধি মেনে ড্রাইভিং সনদ ইস্যু করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। অসংখ্য হেলপার অর্থের বিনিময়ে বিআইটিএ’র কাছ থেকে ড্রাইভিং সনদ সংগ্রহ করে আঞ্চলিক ও বিশ্বসড়কে গাড়ি চালাতে যেয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। অভিজ্ঞতায় ভরপুর হলেও শিক্ষা না থাকায় বর্বর ও বেপরোয়া গতিতে সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। অচল গাড়ি অদক্ষচালক সড়কে গাড়ি চালিয়ে যাত্রী রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। সরকার গাড়ির মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতির ভয়ে শক্ত আইন তৈরি না করে বরং এদের হাতে রাখে, ক্ষণে ক্ষণে ব্যবহার করে থাকে। কথায় কথায় অন্যায়ভাবে গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে যাত্রীদের হয়রানি করে। ইচ্ছেমতো ভাড়া বৃদ্ধি করে। আসুন আমরা ঐক্যবন্ধ হই। প্রতিকার করি। মোঃ মেছের আলী কয়কীর্তন, শ্রীনগর মুন্সীগঞ্জ।
×