ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জিয়া বিশ্বাসঘাতক, তার দল আজও জাতির সঙ্গে তা করে যাচ্ছে ॥ লুৎফা তাহের

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ২৯ অক্টোবর ২০১৪

জিয়া বিশ্বাসঘাতক, তার দল আজও জাতির সঙ্গে তা করে যাচ্ছে ॥ লুৎফা তাহের

জাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২৮ অক্টোবর ॥ জাসদ নেত্রী শহীদ কর্নেল আবু তাহেরপতœী বেগম লুৎফা তাহের এমপি বলেছেন, শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে কর্নেল আবু তাহের তাঁর পা হারিয়েছিলেন। আর শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার সংগ্রামে তিনি আত্মাহুতি দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন, নিঃশঙ্ক চিত্তের চেয়ে জীবনে বড় কোন সম্পদ নেই। সেই সংগ্রাম আমাদের অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঝিনাইগাতী উপজেলা জাসদের উদ্যোগে স্থানীয় ধানহাটিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। লুৎফা তাহের এমপি আরও বলেন, বিশ্বাসঘাতক জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে বিচারের নামে হত্যা করেছে। জিয়ার দল আজও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে চলেছে। খালেদা জিয়া একাত্তরের নরঘাতক জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে জাতির বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আর এ প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এর জন্য দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা রাজনীতির বিরুদ্ধে জাসদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জাসদের নেতা-কর্মীদের আজকে এই ভূমিকা রাখতে হবে। আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত রায়হান প্রধান বক্তা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। উপজেলা জাসদ সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদ সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক মকছেদুর রহমান লবু, একেএম ছামেদুল হক প্রমুখ। এর আগে শেরপুর জেলা সদরে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় লুৎফা তাহের এমপি বলেন, কর্নেল তাহেরসহ সহযোদ্ধাদের প্রহসনমূলক বিচার অবৈধ ঘোষণা করে উচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের বাস্তবায়ন চলছে। এক্ষেত্রে অন্যরা চাকরি-পেনশন ও মর্যাদাগত সুবিধা পেতে শুরু করেছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্নেল তাহেরের পরিবার আর্থিক সুবিধা পেল বা না পেল এটা কোন কষ্টের বিষয় নয়। কর্নেল তাহের মানুষের মাঝে বেঁচে থাকুক- এটাই আমাদের বড় চাওয়া। তবে তিনি সেনা অঙ্গনসহ রাজধানীতে কর্নেল তাহেরের স্মৃতি স্মারকমূলক কিছু একটা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।
×