ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৭ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

কমলনগরে জামায়াতের নেতা ও নেত্রীর ছেলের মারামারি! আহত ৪

মো. ফয়েজ, কমলনগর, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২৩:৪৯, ৬ আগস্ট ২০২৫

কমলনগরে জামায়াতের নেতা ও নেত্রীর ছেলের মারামারি! আহত ৪

‎তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জামায়াতের মিছিলে শেষে দু'পক্ষের হামলায় চার জন আহত হয়েছে। গত কাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‎জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে উপজেলার হাজিরহাট বাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিছিল শেষে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় জামায়াতের হাজিরহাট বাজার শাখার সভাপতি আইয়ুব আলী, আল মাহমুদ ওমর, আইমান তাকিব সহ চারজন আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দুই জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে  মুচলেকা নিয়ে রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে আইমান তাকিবের মা উপজেলা মহিলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি উম্মে কুলছুমের দাবি একটি পক্ষ মিছিলে না যাওয়ায় ছাত্রলীগের ট্যাগ দিয়ে তার ছেলেকে দফায় দফায় এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে পুলিশে দেয়। 

‎জানা যায়, ৫ই আগস্ট মঙ্গলবার  সন্ধ্যায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে কমলনগরের হাজিরহাট বাজারের জামায়াত ইসলামি বাংলাদেশ একটি বিজয় মিছিল করে। মিছিল শেষে তাদের সমাবেশ চলছিলো। পূর্বের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই সময় আল মাহমুদ ওমর- জামাতের হাজিরহাট বাজার শাখার সভাপতি আইয়ুব আলীকে কটুক্তি মূলক মন্তব্য করে। পরে আইয়ুব আলি তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। এতে হারুন নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে হাসাপাতালে ভর্তি রয়েছে। পরে জনরোষ থেকে বাঁচাতে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গতকাল রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পায় আয়মান একজন জুলাই যোদ্ধা।

‎এ বিষয়ে হাজিরহাট বাজার শাখা জামায়াতের সভাপতি আইয়ুব আলী বলেন, মিছিল শেষে আইমান ও ওমর তাকে নিয়ে বিভিন্ন কটুক্তি করে। পরে আমি তাদের ডেকে বিষয়টি জানতে চাই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত আমার উপর হামলা চালায়।

‎এদিকে আইমান তাকিবের মা সাবেক মহিলা জামায়াতে সেক্রেটারি উম্মে কুলছুম বলেন, আমি গত ১৮বছর থেকে মহিলা জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত।  বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় প্রায় এক বছর জেল খেটেছি। আমার ছেলে লক্ষ্মীপুরে খুনি হাসিনার পতন ঘটাতে আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহন করে। যে দলের জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করেছি। ওই দল এখন মিছিলে না যাওয়ায় আমার ছেলেকে ছাত্রলীগ বানিয়ে পুলিশে দেয়। এছাড়াও রাতভর অনেক নাটকের পর আমি যেন এ বিষয়ে কোন বাড়াবাড়ি করতে না পারি তার জন্য মুচলেকা নিয়ে আমার ছেলেকে মুক্তি দেয়।

‎এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল খায়ের বলেন, দু'পক্ষই আমাদের লোক। পূর্বের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা পুলিশের সহযোগিতা নিয়েছি। আর এ বিষয়টি আমরা বসে সমাধান করার চেষ্টা করছি।

‎কমলমগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জামায়াতের মিছিলে শেষে দু'পক্ষের মারামারির ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই জন আটক করা হয়। পরে রাতেই জামায়াতের লোকজন এসে তাদের ছেড়ে নেয়।

 

রাজু

আরো পড়ুন  

×