ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

শেরপুর সদরে অতিরিক্ত ব্যাটারি চালিত অটোর যন্ত্রণায়, ভোগান্তিতে নগরবাসী

সাফিজল হক তানভীর, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, শেরপুর

প্রকাশিত: ০১:০৫, ২১ জুলাই ২০২৫

শেরপুর সদরে অতিরিক্ত ব্যাটারি চালিত অটোর যন্ত্রণায়, ভোগান্তিতে নগরবাসী

দৈনিক জনকণ্ঠ

শেরপুর জেলা সদরে দিন দিন বেড়েই চলেছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার সংখ্যা। শহরের প্রতিটি মোড়ে, বাজার এলাকায় এমনকি অলিগলিতেও এখন এই বাহনের দাপট। অবাধ চলাচল, নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডের অভাব ও চালকদের বেপরোয়া আচরণের কারণে তীব্র যানজটে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

শহরের নিউমার্কেট এলাকার আরিফ হোসেন বলেন, সকাল হলেই শহরের রাস্তায় এত বেশি অটো চলাচল শুরু হয় যে রাস্তায় জ্যাম লেগে থাকে,  ঠিক মত হাঁটা চলা করাও ঝুঁকিপূর্ণ, 
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শহরের কলেজ রোড,

বাসস্ট্যান্ড, খরমপুর, নিউমার্কেট, থানা মোড় গরুহাট মোড়, খোয়ারপাড়, বাগরাকশা, হাসপাতাল রোড, নবীনগর মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবৈধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা অটোগুলো স্বাভাবিক যান চলাচল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।  নেই কোনো নিয়ম মানার বালাই।

শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শ্রাবণী আক্তার বলেন, প্রায় প্রতিদিনই কলেজে যেতে দেরি হয়। অটোগুলো যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলে, এতে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। মেয়েদের জন্য পরিস্থিতি আরও অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে।

স্থানীয় শিক্ষক মেহেদি হাসান জানান, এই শহরটা আগে এতটা অগোছালো ছিল না। এখন প্রতিটি রাস্তায় শুধু অটো আর অটো। প্রশাসনের চোখের সামনেই সব চলছে, কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

এই শহরকে বাসযোগ্য রাখতে হলে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।শেরপুর সদর ট্র্যাফিক পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোর সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে গেছে, যা শহরের ধারণ ক্ষমতার বাইরে। আমাদের জনবলও সীমিত তাই সব সব জায়গায় নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা মনে করছেন, নির্দিষ্ট রুট, স্ট্যান্ড ও নিবন্ধনের আওতায় না আনা পর্যন্ত এই যানজট পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের পাশাপাশি পৌর কর্তৃপক্ষ ও ট্র্যাফিক বিভাগকে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

হ্যাপী

×