ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

জলমগ্ন চাঁদপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ, চরম ভোগান্তি

মোঃ মাইনুল ইসলাম, চাঁদপুর

প্রকাশিত: ০০:০৭, ২১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০০:০৮, ২১ জুলাই ২০২৫

জলমগ্ন চাঁদপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ, চরম ভোগান্তি

ছবিঃ সংগৃহীত

বিচারিক সেবা নিতে চাঁদপুর জেলার আট উপজেলার শত শত মানুষ প্রতিদিন আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। কিন্তু চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ সামান্য বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফলে সেবা নিতে আসা লোকজন, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। হেঁটে যাওয়া কিংবা দাঁড়ানোর সুযোগ নেই আদালত প্রাঙ্গণে। সেবা প্রার্থীদের দাবি, দ্রুত আদালত প্রাঙ্গণ মাটি দিয়ে উঁচু করে দেওয়া হোক।

সরেজমিন আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেছে এই দুর্ভোগের চিত্র। কথা হয় সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। জানান ভোগান্তির কথা।

সদরের চান্দ্রা এলাকা থেকে মামলার কাজে আসা নাছির উদ্দিন বলেন, “মামলার কাজে এসে দেখি আদালতের সামনে প্রায় হাঁটু সমান পানি। বৃষ্টি হলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। আদালতের সামনে এখন দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।”

হাজীগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা আরেক বিচারপ্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, “প্রতিদিন শত শত মানুষ সেবা নিতে আসেন। বিচারিক কাজ সাধারণত বিলম্বিত হয়। এ সময় লোকজন সামনের খালি জায়গায় গাছের নিচে কিছুটা হলেও অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু বৃষ্টি হলে আর দাঁড়ানো সম্ভব হয় না।”

আদালত এলাকার বাসিন্দা মনজুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, “অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার ফলে এই মাঠটি পানিতে ভরে যায়। আদালতের আশপাশের বিভিন্ন ডোবা পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেলে ওই পানি জমে থাকে। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টিনশেড আদালতের সামনের অংশটি নিচু হওয়ায় সেখানে পানি জমে থাকে। এছাড়াও আদালতের আশপাশে বিভিন্ন বাড়িঘর ও বহুতল ভবন নির্মাণ হলেও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। জলমগ্ন হওয়ার এটিও একটি কারণ।”

জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট তোফায়েল হোসেন বলেন, “চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের টিনশেডের সামনের অংশটি এখন পুকুরের মতো হয়ে গেছে। এখানে বিচারপ্রার্থীরা এসে দাঁড়াতে পারছেন না। আসামি হোক বা বিচারপ্রার্থী—সবারই এখন ভোগান্তি।”

তিনি আরও বলেন, “এই সামনের জায়গাটুকু বালু দিয়ে ভরাট করে একটু উঁচু করে দিলে বিচারপ্রার্থীরা এখানে এসে দাঁড়াতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের দাঁড়ানোর জন্য একটি ঘর নির্মাণ করাও প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।”

চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের নাজির শাহ আলম বলেন, “টিনশেডের সামনের অংশটি যদি ভবন করে ফেলা হয়, তাহলে খালি জায়গাটি ভরাট হয়ে যাবে। এছাড়া গণপূর্ত বিভাগ যদি মাটি দিয়ে সামনের অংশটুকু ভরাট করে দেয়, তাহলে বিচারপ্রার্থীদের আর দুর্ভোগে পড়তে হবে না।”

ইমরান

×