
ছবি: জনকণ্ঠ
অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভনে প্রতারিত হয়ে ৫ লাখ ২৮ হাজার ৭০০ টাকা হারানো এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে অর্থ উদ্ধার করে ভুক্তভোগীর হাতে হস্তান্তর করেছে লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
রবিবার(২০জুলাই) দুপুরে উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীর নিকট নগদ অর্থ হস্তান্তর করে পুলিশ। ভুক্তভোগী একরামুলের হাতে টাকা হস্তান্তর কালে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খোর্দ সাপটানার বাসিন্দা ভুক্তভোগী একরামুল হক(৩৭) বলেন, "চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি বিকালে অস্ট্রেলিয়ার একটি নম্বর (+৬১৪৮৫৮৩৯৮০৪) থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কল আসে। কলার নিজেকে শরীফ খান পরিচয় দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ভিসা প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নানা সুবিধার কথা বলেন। পরে ৩১ মে আরেকটি নম্বর (+১২৮৯৯৫৭৩১২) থেকেও ফোন আসে এবং একই প্রলোভন দেখানো হয়।"
বিভিন্ন কথাবার্তার পর একরামুল ভিসা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রতারকচক্র তাকে একাধিক বিকাশ ও নগদ নম্বরে মোট ৫ লাখ ২৮ হাজার ৭০০ টাকা পাঠাতে বলেন এবং ভুক্তভোগী টাকা পাঠান পরবর্তীতে ই-মেইলের মাধ্যমে ভুয়া ভিসা ও ভ্রমণসংক্রান্ত জাল কাগজপত্র পাঠানো হলে তিনি প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
এ বিষয়ে একরামুল গত ১৫ জুলাই লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করলে লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তদন্তে নামে।
ডিবি জানায়, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের উৎস শনাক্ত করে তদন্তের একপর্যায়ে প্রতারক চক্রের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে পুলিশসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে একরামুল হকের হাতে ওই অর্থ হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা ডিবি পুলিশের ওসি সাদ আহমেদ বলেন,"প্রযুক্তির অপব্যবহার করে অনেক চক্র এখন বিদেশ ভিসার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছে। এই ঘটনায় আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে প্রতারিত অর্থ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। কেউ প্রতারণার শিকার হলে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হবার অনুরোধ জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।"
Mily