
ছবি: জনকণ্ঠ
ভারত থেকে নেমে আসা পানির ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই। তিস্তার নিম্নাঞ্চলে পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা সংলগ্ন অঞ্চল লালমনিরহাট-নীলফামারী জেলায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
রোববার বিকাল ৬ টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিতি দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমা ৭ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাতের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এমনটি ধারণা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অরুণাচল, মিজোরাম ও মেঘালয় প্রদেশে ভারী থেকে অভিভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এসব নদ-নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে ও পরবর্তী দু-দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে।
এছাড়া আগামী তিন দিন রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি-ভারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে তিস্তা নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিতি দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, ভারত থেকে নেমে আসা পানির ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ৭ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার নিম্নাঞ্চলে পানি বেড়ে গেছে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা সংলগ্ন অঞ্চল লালমনিরহাট-নীলফামারী জেলায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
Mily