ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

সেচ খালের ভাঙনে বিপর্যস্ত কৃষকরা, নষ্ট হলো ৩০ একর আমন খেত

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥

প্রকাশিত: ২২:২১, ২০ জুলাই ২০২৫

সেচ খালের ভাঙনে বিপর্যস্ত কৃষকরা, নষ্ট হলো ৩০ একর আমন খেত

নীলফামারী সদর উপজেলার তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতাধীন দিনাজপুর সেচ খালের বাম তীরের বাঁধ ভেঙে রোপা আমনের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। রবিবার (২০ জুলাই) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে কালিতলা ভাট্টাতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে চাঁদেরহাট স্লুইস গেট হয়ে নীলফামারী সদর, দিনাজপুরের খানসামা ও চিরিরবন্দর এলাকায় খরিপ-২ মৌসুমের সেচ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধটি মেরামতের জন্য জিও ব্যাগ ও মাটি ফেলে কাজ শুরু করেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ইউনুছ আলী বলেন, “গত কয়েকদিন বৃষ্টিপাত না থাকায় সেচের পানির চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে ক্যানেলে পানির চাপ বাড়ে। আমরা সেই পানি ব্যবহার করে রোপা আমন চারা রোপণ করছিলাম। শনিবার রাতে ভারি বৃষ্টিতে ক্যানেলের পাড়ে ইঁদুরের গর্তে ফাটল দেখা দেয়। এরপর রবিবার সকালে হঠাৎ করে বাঁধটি ভেঙে যায়।”

তিনি আরও বলেন, “বাঁধ ভেঙে পানি হু হু করে ঢুকে পড়ে, এতে প্রায় ৩০ একর রোপা আমনের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে।”

স্থানীয় আরেক কৃষক মোজাম্মেল আলী বলেন, “আমার পাঁচ বিঘা জমির আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক কৃষকের ক্ষেতও ডুবে গেছে। এখন আবার নতুন করে চারা রোপণ করতে হবে।”

এ বিষয়ে নীলফামারী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, রাতে ভারি বৃষ্টির কারণে বাঁধের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং ইঁদুরের গর্ত দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় ৩০ ফুট অংশ বিধ্বস্ত হয়। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে জিও ব্যাগ ও মাটি ফেলে মেরামতের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি দুই দিনের মধ্যে মেরামত সম্পন্ন করে সেচ কার্যক্রম পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে।”

প্রসঙ্গত, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের খরিপ-২ মৌসুমে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের আওতায় ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে নীলফামারী জেলায় ৩৯ হাজার হেক্টর, রংপুরে ১৪ হাজার হেক্টর এবং দিনাজপুরে ১০ হাজার হেক্টর জমি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

নুসরাত

×