
গোপালগঞ্জ জেলায় রবিবার রাত ৮টার পর ১৪৪ ধারা ও কারফিউ বলবৎ থাকছে না। রাত সোয়া ৭টার দিকে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে, সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনাপূর্বক পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে। এছাড়া, অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জারীকৃত ১৪৪ ধারা চলাকালীন কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ভারী যানবাহন চলাচল করেনি। রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইকসহ ছোট ছোট যানবাহন চলতে দেখা গেছে। সরকারি, আধাসরকারি অফিসসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খোলা ছিল। কাঁচাবাজার খোলা থাকলেও শহরের দোকানপাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ ছিল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। রাস্তাঘাট অধিকাংশই ছিল ফাঁকা। পরীক্ষার্থী ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলে যেতে দেখা যায়নি। অভিভাবকরাও সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে চরমভাবে ছড়িয়ে পড়েছে মামলা আতঙ্ক।
এদিকে, গোপালগঞ্জে এনসিপি’র পদযাত্রা ও সমাবেশ কেন্দ্রিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত আরও ৪টি মামলাসহ মোট ৮টি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। প্রতিটি মামলায় পুলিশ বাদী হয়েছে। এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর থানায়ই মামলা হয়েছে ৪টি। এরমধ্যে ২টি সন্ত্রাস দমন আইনে এবং ৪টি হত্যা মামলা। এছাড়া কোটালীপাড়া ও কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় ৮ হাজার ৪ শ’ ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিভিন্ন থানা থেকে নতুন ২৭ জনসহ জেলার পাঁচ উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩ শ’ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
জেলার সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল রয়েছে। তবে কোনো সাধারণ, নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আফরোজা