
ছবি: জনকণ্ঠ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশে পাহাড় আর নদী ঘিরে রয়েছে মায়াবিরাম বেশকিছু দর্শনীয় স্থান। পাহাড়ের দুই পাশের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী সাঙ্গু। পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও মৌসুমী শাকসবজি। মেঠোপথের দুপাশে বনজ গাছ গুলো সারিবদ্ধ দেখতে অপূর্ব সুন্দর আর আকর্ষণ কেড়েছে অনেক পর্যটকের।
ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে, আরিফ শাহ পাড়া শাহী জামে মসজিদ, শুক্লম্বর দীঘি, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ লেক ও বিদ্যানগর এলাকা, চাগাচর খাঁন মসজিদ, দুধপুকুরিয়া - ধোপাছড়ি বণ্যপ্রাণ অভয়ারণ্য, খাঁন দীঘি, চা-বাগান (কাঞ্চনগর), পেয়ারা বাগান (কাঞ্চনগর), খাঁন জামে মসজিদ ও কদম রাসুল (সা) শরীফ, মোঘল আমলের বাদশাহ দের বাগান, বধ্যভূমি (জামিরজুরি), হাজারী দীঘি, হাফেজ নগর দরবার, শান্তি বিহার (সাতবাড়িয়া), ঠাকুর দীঘি (বরমা), রত্নকুর বিহার (পূর্ব সাতবাড়িয়া), বুড়ি কালি মন্দির (বরমা), সূফি শাহ দরবার, গ্রীণ ভ্যালি পার্ক, এলাচি লেবুর বাগান, সাঙ্গু নদী, দোহাজারী বৃহত্তর রেলওয়ে স্টেশন সহ আরো অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
তৎমধ্যে, পাহাড়ি, বাঙ্গালি, মগসহ বিভিন্ন ধর্মের লোক বসবাস করে থাকে। সবাই মিলে যেন একটি পরিবার।
উপজেলার পাহাড়ি এক ইউনিয়ন ধোপাছড়ি, পা বাড়ালেই স্পর্শ করে নদী আর পাহাড়, সমতল ভূমিতে রয়েছে রঙবেরঙের ফুল, ফল পাখি কলকলান। নদী আর পাহাড় বেষ্টিত এ ইউনিয়নকে দেখতে অন্য রকম লাগে। সবচেয়ে বেশি নদী পথে এ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। প্রায় ২ ঘন্টা নদী পথে যেতে হলেও এ ধোপাছড়ির সৌন্দর্য এখনো ভ্রমণ পিপাসু মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। যারাই একবার নৌপথে ধোপাছড়িতে গিয়েছিলেন, তারাই মনোমুগ্ধকর এক গল্প শুনিয়েছিলেন।
এক নব দাম্পতি জানান, এই উপজেলার ইতিহাস ঐতিহ্যের গল্প পড়েছি, কতগুলো দর্শনীয় স্থান। তবে এবার স্বচক্ষে উপভোগ করেছি। পাহাড় আর নদী ঘিরে গড়ে উঠেছে কত রঙের রঙিন দৃশ্য। যা দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা।
আবির