
ছবি: জনকণ্ঠ
পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রশাসনিক ও একাডেমিক নানা অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে ৮ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে তারা।
রোববার (২০জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাবনা সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুঁলিয়ে এই কর্মসূচী পালন করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আন্দোলন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করে বলেন, বুটেক্সের অধীনে পরিচালিত টেক্সটাইল কলেজগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ‘ইয়ার ড্রপ’ নামক একটি অবিচারমূলক সিস্টেম চলছে। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রায় ৬ মাস পর ফল প্রকাশ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষার ১৫-২০ দিন আগে ছাত্ররা জানতে পারে, তারা ‘রিটেক’ বা ‘ইয়ার ড্রপে’ পড়েছে যা একাডেমিক ও মানসিকভাবে তাদের চরমভাবে বিপর্যস্ত করছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের কাছে সমস্যাগুলোর কথা জানিয়ে আসছিলেন। বারবার আশ্বাস মিললেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। এরই প্রেক্ষিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন এবং সেমিস্টার ফাইনাল, ক্লাস টেস্ট, ল্যাবসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।
তাদের দাবি সমূহ হলো-
*ষোলো ও সতেরো ব্যাচের ইয়ারড্রপ ফেইলকৃত বিষয়ের নাম ও গ্রেড অফিসিয়ালভাবে জানানো হবে।
*ইয়ারড্রপের কারণ বিস্তারিত জানাতে হবে।
*সেমিস্টারের রেজাল্ট সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে গ্রেডসহ প্রকাশ করতে হবে।
*লেভেল-২, টার্ম-২ এর রেজাল্ট গ্রেডশীটসহ পুনরায় প্রকাশ করতে হবে।
*প্রতিটি সেমিস্টার ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
*সাপ্লিমেন্টারি ব্যবস্থা চালু করে ফি স্বল্প রাখতে হবে।
*সংশোধিত বা নতুন নিয়মাবলি দ্রুত শিক্ষার্থীদের জানানো হবে।
*শিক্ষক সংকট দূর করে মানসম্পন্ন শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নিতে হবে।
পাবনা সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মো. বখতিয়ার হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে এই বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। যৌক্তিক দাবি রয়েছে তা অবশ্যই মেনে নেওয়া হবে এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শিহাব