
ছবিঃ সংগৃহীত
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পরিবেশ আন্দোলন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। রবিবার সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা হচ্ছে কক্সবাজার। পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত এটি। পৃথিবীর বৃহত্তম শরণার্থী ক্যাম্প ও বাংলাদেশের একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর রয়েছে কক্সবাজারে।
প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ও শত শত বিদেশি নাগরিক কক্সবাজার ভ্রমণ ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে কক্সবাজারে আগমন করেন। অধিকাংশ পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণের যাতায়াতের একমাত্র পথ হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব রয়েছে এ সড়কের। তাছাড়াও কক্সবাজারে পর্যটনের পাশাপাশি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, টেকনাফ স্থলবন্দর, এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন, বিশেষ শিল্পাঞ্চল, চিংড়ি, লবণ, পান ও সুপারিসহ বিভিন্ন স্থানীয় পণ্য পরিবহনে অর্থনৈতিকভাবেও মহাসড়কটির গুরুত্ব বাড়ছে দেশের অভ্যন্তরে।
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এ সড়কটি এপর্যন্ত কোনো বড় ধরনের উন্নয়নকাজ বা প্রশস্তকরণ করা হয়নি।
মহাসড়কের অধিকাংশ অংশের প্রশস্ততা মাত্র ১৮ থেকে ৩৪ ফুট। মহাসড়কটি বাঁকা ও উপসড়কে ভরপুর। তাছাড়া উপসড়ক দিয়ে হঠাৎ ছোট-বড় গাড়ি উঠে আসায় সৃষ্টি হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি। তার ওপর ট্রাকভর্তি লবণ পরিবহন দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন, আর প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। এক জরিপে দেখা গেছে, গত ১ বছরে এ মহাসড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩০ জন মানুষ। আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন হাজার হাজার।
তাই এ মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করা হলে শুধুমাত্র যানবাহন নয়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের পর্যটন, কৃষি, শিল্প ও শিক্ষা খাতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি ২০১৮ সালে প্রস্তাব করা হলেও এখনো তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। কক্সবাজার জাতীয় আয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও শত বছর ধরে এ সড়কে বড় ধরনের কোনো সংস্কারকাজ করা হয়নি।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কমরেড গিয়াস উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন পৃষ্ঠপোষক ও বাপা কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এইচএম এরশাদ, সদস্য সচিব নাজিম উদ্দীন, সমন্বয়কারী করিম উল্লাহ কলিম, সাংবাদিক এমআর খোকন, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, কবি এম জসিম উদ্দিন, সাংবাদিক মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ ম্যাক্স, কল্লোল দে চৌধুরী, সুজন-এর সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক আমিন উল্লাহ, সাংবাদিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক বলরাম দাশ, ‘আমরা কক্সবাজারবাসী’ সংগঠনের কামাল উদ্দিন, বাপা সদস্য অধ্যাপক এহসান উদ্দিন, রুহুল কাদের শিলু, ভয়েস অব কক্সবাজার ভলান্টিয়ার্স-এর মোঃ কামরুল হাসান, জাকির হোসেন নয়ন, সিএইচআরডিএফ-এর মোঃ ইলিয়াস, হাজী এনামুল হক চৌধুরী, আমান উল্লাহ, সাংবাদিক মোঃ হোছন সুমন ও মোহাম্মদ রিয়াজ।
ইমরান