ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

ফটিকছড়িতে নিখোঁজের পর খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার

ওবাইদুল আকবর রুবেল, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ২০:২০, ২০ জুলাই ২০২৫

ফটিকছড়িতে নিখোঁজের পর খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার

ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় খাল থেকে সন্তোষ চন্দ্র নাথ (৪০) নামে এক অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ থাকার ১০ দিন পর ওই ব্যক্তির লাশ খালে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। লাশ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মোঃ তারেক আজিজ।

রোববার (২০ জুলাই) দুপুর ১২টায় উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের লালপুল সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদ। নিহত সন্তোষ চন্দ্র নাথ লেলাং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সীমান্ত মহাজন বাড়ির পরিমল চন্দ্র নাথের পুত্র।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সকালে খালে লাশটি ভাসতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারের সময় লাশটির হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ও মুখমণ্ডল পলিথিন মুড়ানো ছিল এবং শরীরে পচন ধরে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের ভাষ্য, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি একটি হত্যাকাণ্ড। অধিকতর তদন্তে আমরা মাঠে কাজ করছি।

নিহত সন্তোষের বাবা পরিমল চন্দ্র নাথ জানান, গত ৯ জুলাই সকালে সন্তোষ বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও কোনো সন্ধান মেলেনি। পরে আমরা থানায় নিখোঁজের ডায়েরিও করেছি। তিনি আরও জানান, আমার ছেলে অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে টুকটাক ব্যবসা করতেন, অনেকের সঙ্গে লেনদেন রয়েছে। এ নিয়ে কারও সঙ্গে বিরোধের জেরেই হয়তো এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।

ঘটনাস্থলে থাকা নিহতের স্ত্রী ঝর্ণা রানী নাথ বিলাপ করতে করতে বলেন, 'আমার স্বামী গত কয়েকদিন আগে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। আজকে লাশ হয়ে ফিরলো। এখন দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে কীভাবে বাঁচবো!'

এ বিষয়ে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদ বলেন, 'স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি।'

ইমরান

×