
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সোহেলকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী মংসানু মারমাকে আটক করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। শনিবার সকালে উপজেলার দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানের সময় আটক করা হয় মংসানু মারমাকে। এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭ জনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ৪ জুলাই রাতে মানিকছড়ি উপজেলার ছদুরখীল এলাকায় নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মো. সোহেল নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ হয়। এরপর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা অপহৃত সোহেলকে মুক্তির জন্য তার নানার মুঠোফোনে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এ ঘটনায় প্রতিবেশী কয়েকজনকে সন্দেহ করে গত ১১ জুলাই ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মানিকছড়ি থানায় মামলা করেন সোহেলের নানা আবদুর রহিম প্রকাশ গফুর।
মামলার পর প্রতিবেশী কসম কার্বারিপাড়ার সম্বু কুমার ত্রিপুরা (৩৬), গোরখানা এলাকার মো. মাঈন উদ্দিন (২১) ও মো. ইয়াছিন মিয়া (২৮)-কে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকৃতরা অপহরণের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেও অপহৃতের সন্ধান দিতে পারেনি। এরপর মো. শফিউল্লাহ ও আদী কুমার ত্রিপুরা নামে আরও দুইজনকে আটক করে নিরাপত্তাবাহিনী।
গত ১৬ জুলাই উপজেলার বুদংপাড়া নামার পাড়ার একটি ঝিরি থেকে অপহৃত সোহেল এর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে নিরাপত্তাবাহিনী। এরপর আরও দুইজনকে আটক করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূল পরিকল্পনাকারী।
শনিবার সকালে উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে মংসানু মারমা এবং আরেক অভিযানে বাবু মারমাকে আটক করতে সক্ষম হয় নিরাপত্তাবাহিনী। পরে তাদের থানায় সোপর্দ করা হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদ্রাসা ছাত্র সোহেল অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয় মংসানু মারমা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, মাদ্রাসা ছাত্র সোহেল অপহরণ পরবর্তী হত্যার ঘটনায় জড়িত এজাহারভুক্ত মূল পরিকল্পনাকারী মংসানু মারমাসহ দুই জনকে গতকাল আটক করা হয়েছে। তাদের দুইজনকে রোববার আদালতে তোলা হবে। এর আগে ৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। তারা এখন জেলহাজতে আছে।
আফরোজা