ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

বেলাবতে ১২ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা

রুমেল আফ্রাদ রুবেল, বেলাব, নরসিংদী

প্রকাশিত: ১৫:০৫, ২০ জুলাই ২০২৫

বেলাবতে ১২ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা

ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় মাত্র ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি বৃদ্ধ বয়সের হলেও তার আচরণে এলাকার সাধারণ মানুষ মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে বেলাব থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারায়ণপুর ইউনিয়নের কাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা রহমান ও মাতা তাসলিমা আক্তার-এর একমাত্র কন্যা। সে বেলাব উপজেলার এবং স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কিশোরীর পরিবার জানায়, শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে মেয়েটি বাড়ির পাশের ঈদগাহ মাঠে খেলছিল। এ সময় একই গ্রামের বাসিন্দা আলকাস মিয়া (৬০), পিতা মৃত আব্দুল গফুর, পেশায় একজন কৃষক, যিনি কিশোরীটিকে নানা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের লাউক্ষেতে ডেকে নিয়ে যায়।

পরিবারের অভিযোগ, নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটি চিৎকার করতে না পারলেও তার অসহায় পরিস্থিতির কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। কিছুক্ষণ পর মেয়েটির মা তাকে খুঁজতে গিয়ে ক্ষেতের ভেতর অসংগতিপূর্ণ অবস্থায় দেখতে পান। মায়ের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

মায়ের চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং ঘটনার বিস্তারিত জানতে পেরে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা রাতেই থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় এবং একই তারিখ রাতে থানায় গিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি লিখিত অভিযোগ করে।

এ বিষয়ে বেলাব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান—“ঘটনাটি আমাদের নজরে আসার পরই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক থাকলেও তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

এলাকাবাসী জানান, অভিযুক্ত আলকাস মিয়ার বিরুদ্ধে আগে কোনো সরাসরি অপরাধের অভিযোগ না থাকলেও তিনি স্বভাব চরিত্রে বিতর্কিত ছিলেন। এমন ঘৃণ্য ঘটনার পর তারা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আলকাস মিয়ার উপযুক্ত বিচারের প্রত্যাশা করেন মেয়েটির পরিবার।

এলাকাবাসী ও সুধীজনেরা বলেন, “আমাদের গ্রামের ছোট মেয়েরা এখন আতঙ্কে আছে। আমরা চাই দ্রুত বিচার হোক। যাতে কেউ আর এমন কাজ করার সাহস না পায়।”

আবির

আরো পড়ুন  

×