
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঠাকুরদিঘী এলাকায় গাছ ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে অবরোধের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ‘ছাত্রলীগ’-এর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় আগুন লাগিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর তারা পালিয়ে যায়।
শনিবার (১৯ জুলাই) দিনগত মধ্যরাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার ঠাকুরদিঘী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অবরোধ চেষ্টার সময় গাছে আগুন দেওয়ার ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ‘ছাত্রলীগ’ নেতা শহীদুল ইসলামের ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, একজন প্রথমে পেট্রল ঢেলে মহাসড়কে রাখা গাছে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর আরও কয়েকজন মিলে মিছিল করে স্লোগান দিতে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে ‘ছাত্রলীগ’-এর নেতা-কর্মী নিহত ও গণগ্রেপ্তারের ঘটনার প্রতিবাদে রোববার সারাদেশে হরতালের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। হরতালের সমর্থনে রাতের আঁধারে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধের চেষ্টা চালায় তাদের নেতাকর্মীরা।
এদিকে রোববার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন আগের মতোই চলাচল করছে। মহাসড়কে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, ‘মহাসড়কের ঠাকুরদিঘী এলাকায় রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ সংগঠন "ছাত্রলীগ"-এর কিছু যুবক গাছ ফেলে অবরোধের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়। পরে সড়কে ফেলা গাছগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহাসড়কে যান চলাচল এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ টহল দিচ্ছে।’
সানজানা