
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া রেলওয়ে স্টেশনের পেছনে মেইন সড়ক সংলগ্ন একটি কূপ চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে সময়ের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে।
কথিত আছে, বৃটিশ আমলে এই কূপটি নির্মাণ করা হয়েছিল রেলপথের শ্রমিক ও আশপাশের মানুষদের পানি সরবরাহের উদ্দেশ্যে। একসময় এটি ছিল স্থানীয়দের পানির একমাত্র উৎস, যা শত শত মানুষকে তৃষ্ণা মেটাতে সহায়তা করেছে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় কূপটির সেই গুরুত্ব আর রইলো না।
আজকের প্রজন্মের অনেকেই জানেন না এই কূপের অস্তিত্বের কথা। অযত্ন আর অবহেলায় আজ সেই কূপটি মলিন ও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কূপের পানিতে জমেছে ময়লা ও শেওলা। স্বচ্ছতা হারিয়েছে, হারিয়েছে ব্যবহারও।
স্থানীয় প্রবীণদের মতে, একসময় এই কূপের পানি ছিল ঠান্ডা ও সুপেয়। পথচারী, দোকানদার, রেলকর্মীসবাই এই কূপের ওপর নির্ভর করতেন।
কেউ কেউ বলেন, কূপটি ছিল রেল স্টেশনের ‘লাইফ লাইন’। কিন্তু এখন? পানি ওঠে না, কেউ ব্যবহারও করে না। কূপটি পড়ে আছে কেবল অতীত স্মৃতির বোঝা হয়ে।
এখনও কূপটির স্থাপত্য অক্ষত। কিছু পরিচর্যা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে কূপটি আবার ব্যবহার উপযোগী করে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা। কেউ কেউ এটিকে একটি ‘ঐতিহাসিক নিদর্শন’ হিসেবে চিহ্নিত করার দাবিও তুলেছেন।
রুহিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা মো. রহিম উদ্দিন বলেন, এটা শুধু একটা কূপ না, আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। একটু যত্ন নিলেই এটা আবার ব্যবহারযোগ্য হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা এরশাদ আলী বলেন, রুহিয়ার এই বৃটিশ আমলের কূপ কেবল একটি পানির উৎস নয়, এটি একটি যুগের নিদর্শন, ইতিহাসের সাক্ষী। আজ প্রয়োজন শুধু একটু উদ্যোগ।
তাহলেই হয়তো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কূপটি হয়ে উঠবে এক শিক্ষণীয় ঐতিহাসিক নিদর্শন।
রাজু