
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন
রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর এই প্রথম পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৈঠক করেছে। শনিবার ভেদভেদীর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড রেস্ট হাউসের কনফারেন্স রুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্রবোধী প্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা ও আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম কুমার চাকমা ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা এবং পার্বত্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক চলে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের সার সক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সমস্যা সমাধানের প্রথম বিষয় হলো, সমস্যা যে আছে সেটা স্বীকার করে নেওয়া। এ সময় তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি চুক্তির ছোট বিষয়গুলো চিহ্নিত করে যাতে সহজে সমাধান করা যায়। সভার মাধ্যমে আমরা অনেকটাই শিখেছি। আর বড় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।
আমরা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করেছি। কি কি সমস্যায় চুক্তি বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সমস্যা চিহ্নিত করার কোনো প্রয়োজন নাই। আমরা সকলেই জানি, এ অঞ্চলে কি কি সমস্যা বিরাজমান। সুতরাং সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে আমরা সকলেই আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে চুক্তি সম্পাদনকারী জেএসএসের সভাপতি সন্তু লারমাকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে আলোচনা হয়েছে বলে জানান। এর বাইরে তারা কেউ মুখ খোলেননি। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পরিবীক্ষণ কমিটির দশম সভায় তার বক্তব্যে বলেন, এই সভা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে, যদি সকল পক্ষ সম্মিলিতভাবে চুক্তি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ কওে, তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়ন সম্ভব।
প্যানেল হু