ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

জাতীয় সমাবেশে জামায়াত আমির

আরেকটি লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে

ইসরাফিল ফরাজী

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ১৯ জুলাই ২০২৫

আরেকটি লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘জাতীয় সমাবেশে’ উপস্থিতির একাংশ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে আরেকটা লড়াই হবে। সেই লড়াইয়েও আমরা জয়লাভ করব। একটি লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। আরেকটি লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, আল্লাহ আমাদের যদি সুযোগ দেন ক্ষমতায় গেলে জনগণের মালিক হব না, সেবক হয়ে কাজ করব।
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশে এ কথা বলেন জামায়াত আমির। সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে মঞ্চে দুইবার পড়ে যান ডা. শফিকুর। পরে মঞ্চে বসেই বক্তব্য শেষ করেন তিনি। 
এদিন ঢাকার বুকে ইতিহাস লিখল জামায়াতে ইসলামী। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই প্রথম এককভাবে সমাবেশ করেছে দলটি। জামায়াতের ডাকে সাড়া দিয়ে জনসমুদ্রে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ দেশের অধিকাংশ প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। 
পিআর পদ্ধতির পক্ষে না থাকায় সমাবেশের দাওয়াত পায়নি বিএনপিসহ কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দলের কোনো প্রতিনিধি। জামায়াতের এই সমাবেশ থেকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্রসহ ৭ দফা দবিকে আরও জোরালো করা হয়েছে। 
শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হয় জাতীয় সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা। প্রথম পর্বে ইসলামিক সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করে বিভিন্ন সংগঠন। জোহরের নামাজ এবং খাবারের বিরতি দিয়ে শুরু হয় সমাবেশের মূল পর্ব। 
সমাবেশে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে ও সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনজন। এদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়। একজনের মৃত্যু হয়েছে অসুস্থজনিত কারণে। শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনায় নিহত হন খুলনার দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শেখ আবু সাঈদ (৫২)। পরে আহত আরও একজন জামায়াত নেতার মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ (৫৫)। অপর একজনের মৃত্যু হয় অসুস্থ জনিত কারনে। তার নাম মোস্তাফিজুর রহমান কলম বিশ্বাস (৫০)। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চরমিরকামারী গ্রামের মাহবুব বিশ্বাসের ছেলে। 
জামায়াতের সমাবেশে সারাদেশ থেকে প্রায় ১৫ লাখ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিল বলে জানিয়েছে দলের প্রচার বিভাগ। সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার রাত থেকেই জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। শনিবার ফজরের আগেই সোহরাওর্দী উদ্যানের প্রধান মাঠ পূর্ণ হয়ে যায়। বেলা ১১টায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশ স্থল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠের চারপাশে অবস্থান নেয় মানুষ। দৈনিক বাংলা মোড় থেকে শুরু করে শান্তিনগর, কাওরান বাজার, কাঁটাবন থেকে শুরু করে বকশীবাজার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে সমাবেশের অংশ। 
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতকরণÑ এই সাত দাবিতে জাতীয় সমাবেশ করে জামায়াত। 
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দুর্নীতির মুলোৎপাটনের জন্য আমরা যা দরকার করব। এতেও আমরা বিজয়ী হব। আমি গভীর পরিতাপের সঙ্গে জানাচ্ছি, আজকের এই সমাবেশ আয়োজন করতে গিয়ে তিনজন ভাই নিহত হয়েছেন। তারা এই সমাবেশে এসে একজন অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন। আল্লাহ তাদের কবুল করুন।

আবু সাঈদরা যদি বুক পেতে না দিত তা হলে আজও অনেকে তাদের জীবন হারাত। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা পাওয়া, তাদের যেন তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করা হয়। শিশু রাজনীতিবিদ বলে যেন অবজ্ঞা না করা হয়। অন্য কোনো দলকে অবজ্ঞা যেন না করা হয়। অরাজনৈতিক ভাষায় যেন কথা না বলা হয়। যারা পারবে না, বুঝবেন তাদের মনে ফ্যাসিবাদ ভর করেছে। জাতীয় ঐক্যের বীজতলা আমরা তৈরি করব।
বক্তব্য প্রদানকালে হঠাৎ মঞ্চে পড়ে যান জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। তবে কিছুক্ষণ পর তিনি উঠে কথা বলেন। কিন্তু আবারও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জামায়াতের স্বেচ্ছাসেবক ও চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি বাধা দেন। অসুস্থ অবস্থায় মঞ্চে বসেই মাইক হাতে সমাপনী বক্তব্য দেন জামায়াত আমির।
জামায়াত আমির বলেন, আল্লাহ যতদিন হায়াত দিয়েছেন জনগণের জন্য লড়াই অব্যাহত থাকবে। আমরা নির্দেশনা দিচ্ছি জামায়াত আগামীতে সরকার গঠন করলে দলের কোনো এমপি-মন্ত্রী সরকারি উপহার নেবেন না। তারা ট্যাক্সবিহীন গাড়িতে চড়বেন না। নিজ হাতে টাকা চালাচালি করবেন না। তারা নির্দিষ্ট কোনো কাজের জন্য বরাদ্দ পেলে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে তার বিবরণ তুলে ধরতে বাধ্য হবেন। চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না। চাঁদা নিতে দেব না, দুর্নীতি আমরা সহ্য করব না।
তিনি বলেন আজকে আমি জামায়াত আমির হয়ে কথা বলতে আসিনি, এসেছি ১৬ কোটি মানুষের একজন হয়ে কথা বলতে। আমি শিশুদের বন্ধু, আমি যুবকদের ভাই, আমি বয়স্কদের সহযোদ্ধা, আমি বোনদের ভাই। সুতরাং, তাদের মুক্তির জন্য আজকে দায়িত্ব নিয়ে দাঁড়িয়েছি। রাস্তার একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, গায়ের ঘাম ঝরানো ভাইরা তাদের জন্য কথা বলতে এসেছি। কোনো অভিজাত শ্রেণির হয়ে কথা বলতে আসিনি।
জুলাই আন্দোলনে শহীদ হতে না পারাটা তার দুর্ভাগ্য উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, আপনাদের দোয়া চাই, ইনসাফের পক্ষে যে লড়াই হবে, আগামীতে যে আন্দোলন হবে আল্লাহ যেন সেখানে আমাকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন। এখন থেকে বাংলাদেশে পুরানো কোনো কিছুই থাকবে না। পুরানো এই বস্তাপচা জিনিস যদি এই দেশে থাকে তা হলে কেন এত লোক জীবন দিল? নতুন পদ্ধতিতে বাংলাদেশ চলবে। এ ছাড়া এ দেশ চলবে না। তাকবির স্লোগানের মাধ্যমে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন। 
বর্ষীয়ান নেতা জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রচলিত কোনো রাজনৈতিক দল নয়, কোনো প্রচলিত ইসলামী দল নয়। এটি একটি ইসলামী আন্দোলন। তিনি বলেন, আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে আজ লাখো জনতার এই মহাসমুদ্রে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাকে হত্যার আয়োজন করা হয়েছিল। আমি সরকারের কাছে আবেদন করতে চাই, আমাদের যে ১০ জন ভাইকে হত্যা করা হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

যারা এই হত্যাকা-ে জড়িত, তাদের বিচার করতে হবে। আমাদের কোনো শক্তি আটকাতে পারে নাই, পারবে না ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, জামায়াতের নেতৃবৃন্দ পালায় না। আমাদের উপড়ে ফেলতে পারবেন না। যারা উপড়ে ফেলতে আসবেন তাদের দাঁত ভেঙে দেওয়া হবে। 
দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জামায়াত কোনো জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদকে পছন্দ করে না। ইসলামেও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদ আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। সেটা ধর্মীয় জঙ্গিবাদ হতে পারে, আবার রাজনৈতিক জঙ্গিবাদও হতে পারে। জামায়াত সব ধরনের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে; সংগ্রাম করবে, প্রয়োজনে রুখে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর দেশের জনগণ সংস্কার চেয়েছে। তারা এখনো সংস্কার চায়, সংস্কারের পরেই নির্বাচনের পক্ষে দেশের জনগণ। জামায়াতে ইসলামীসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল মনে করে, সংস্কার সবার জন্যই কল্যাণকর। কিন্তু যারা সংস্কার চান না, তাদের নিশ্চিয়ই বদ মতলব আছে।
জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু করা প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, পিআর পদ্ধতিতে টাকা দিয়ে ভোট কেনার সুযোগ নেই। সে জন্য মতলব পূরণ হবে না। পিআর পদ্ধতিতে স্বচ্ছ নির্বাচনের বিরোধিতা করা মানে তারা জাতির প্রত্যাশা নিয়ে সচেতন নয়। একটি রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা বলছেন পার্লামেন্টে বসে সংস্কার করবেন। কেন এমনটা মনে করছেন? আপনারা মনে করছেন আগামী নির্বাচনে আপনারা জিতবেন, নাকি দখল করবেন?

নির্বাচনে দখলবাজি করতে দেবে না জনগণ। জামায়াতে ইসলামী চায় আগামী নির্বাচনে জনগণের জয় হোক। জনগণ যাদের ভোট দেবে, তারাই জিতবে। সোহরাওয়ার্দীর বিশাল এ সমাবেশ, মেসেজ কি পাওয়া যাচ্ছে না কারা জিতবে? আগামীতে বাংলাদেশপন্থিরাই জিতবে, চাঁদাবাজবিরোধীরাই জিতবে, সুশাসনের পক্ষের শক্তির বিজয় হবে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তরুণ প্রজন্মের প্রথম ভোট দাঁড়িপাল্লার পক্ষে হোক। জুলুম, নির্যাতন, গুম ও খুনের বিরুদ্ধে আজকের এই সমাবেশে গণবিস্ফোরণ হয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসনের সময় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মজলুম জামায়াত ইসলামী।
তিনি বলেন, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান ২৪ এর সমস্ত রক্তাক্ত শহীদদের পাশে ছুটে গেছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ ছাড়া হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের নিরাপত্তা দিয়েছেন, তাদের পূজায় সহায়তা করেছেন। আমার প্রিয় আমির তিনি জাতীয় মানবিক নেতা।
পিআর পদ্ধতির পক্ষে না থাকায় জাতীয় সমাবেশে দাওয়াত পায়নি বিএনপিসহ ছোট কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এর বইরে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তার মধ্যে রয়েছেন-  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, গণঅধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হক নূর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আযাদ, নেজামে ইসলামের মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও কয়েকজন জুলাই যোদ্ধা।  
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় জাতীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, মোয়াযযম হোসাইন হেলাল ও মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, আবদুর রব, অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন, অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ ও মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

প্যানেল হু

×