ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

কালাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে দাপ্তরিক কার্যক্রম

সংবাদদাতা, কালাই, জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ১৯ জুলাই ২০২৫

কালাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে দাপ্তরিক কার্যক্রম

কালাই উপজেলা সদরের প্রধান ডাকঘর ভবনটির বেহাল দশা

জয়পুরহাটে কালাই উপজেলা সদরের প্রধান ডাকঘর ভবনটি বেহাল দশা। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় প্রতিদিনই খুলে পড়ে ছাদের পলেস্তারা। বর্ষা মৌসুমে ভবনের ছাদ ও দেওয়াল চুঁইয়ে পড়ে পানি। বাইরে থেকে এ ডাকঘরটি বেশ চকচকে দেখা গেলেও ভেতরের অবস্থা বড়ই শোচনীয়। ফলে সেবা গ্রহিতা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ডাকঘরের জরাজীর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে উপজেলা ডাকঘরটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে  ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। ডিজিটাল যুগে ডাকঘরের প্রয়োজন কমে গেলেও সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা, পোস্টাল অর্ডার, রেভিনিউ স্টাম্প ও ম্যারেজ রেজিস্ট্রার কাজী অফিসের চিঠিপত্র এখনো ডাক বিভাগের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়। তাই ডাক বিভাগ প্রতিদিনই সচল থাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্ষার মৌসুমে টানা বৃষ্টিতে ভবনের ছাদ ও দেয়াল চুইয়ে পানি পড়ে। বিমের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে।
 মেঝসহ পুরো ভবনটি স্যাঁতসেঁতে থাকে। ছাদ চুইয়ে পানি পরে টেবিলে রাখা মূল্যবান কাগজপত্র ভিজে যাচ্ছে। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ভবনটি আগেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। ভবনটি প্রধান সড়কের পাশে নিচু জায়গা হওয়ায় ভারি বর্ষণের কারণে ডাকঘরটির সামনে পানি জমে থাকে। 
কালাই পৌরসভার বাসিন্দা সেবা নিতে আসা জহুরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কাজে প্রতি মাসেই ডাকঘরে আসি।  বৃষ্টির সময় ভবনের সামনে রাস্তায় হাটু সমান পানি থাকে। মেঝসহ পুরো ভবনটি  স্যাঁতসেঁতে ভেজা থাকে। ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী। দ্রুতই সংস্কার করা দরকার।
সেবা নিতে আসা মনসুর রহমান বলেন, বর্তমানে ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ। ছাদের বেশিরভাগ জায়গার পলেস্তারা খুলে রড বের হয়েছে। নতুন ভবন না হলেও অতি শীঘ্রই মেরাতম প্রয়োজন। উপজেলা পোস্টমাস্টার সুনীল চন্দ্র প্রারামানি বলেন, ডাকঘরটিতে বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি চিঠিপত্র, চাকরির প্রবেশপত্র ও বিভিন্ন পার্সেল আসে। কিছু গ্রাহক বীমার টাকা লেনদেন করেন।

বিভিন্ন সময় ডাক বিভাগের লোকজন এসে ভবনটি পরিদর্শন করে গেলেও সংস্কার হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দাপ্তরিক কাজকর্ম করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেলার পোস্ট অফিস পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সঙ্কটের সমাধান করা হবে।

প্যানেল হু

×