ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলা হয়

কুয়াকাটায় মরদেহ উদ্ধারের ৮ ঘণ্টায় রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ১৯ জুলাই ২০২৫

কুয়াকাটায় মরদেহ উদ্ধারের ৮ ঘণ্টায় রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২

কুয়াকাটায় নিখোঁজের দুই দিন পর মো. সবুজ হাওলাদার (২৩) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এরা হলেন লালচান (২৪) ও বেল্লাল (২৮)। এদের স্বীকারোক্তী মতে নিহত সবুজ হাওলাদারের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। আজ, শনিবার বিকেলে মহিপুর থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংএ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেন কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমীর সরকার। 

তিনি জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে খবরের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলে পশ্চিম কুয়াকাটার বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে সবুজ হাওলাদারের পচন ধরা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোররাতে প্রথমে লালচানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে লালচান। লালচান জানান, নিহতের সঙ্গে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। মোবাইল গেম আড্ডার সূত্র ধরে নিহত সবুজ, আটক লাল চান ও বেল্লাল একসঙ্গে চলাচল করতেন।

হত্যার পেছনে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিরোধ এবং একটি মোবাইল ভিডিও ছিল মূল কারণ। ঘটনার রাতে পৌনে নয়টায় সবুজ হাওলাদার আসামি লাল চাঁনের মোবাইল দিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে নিজের মোবাইল দিয়ে লাল চাঁনের শরীরের ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একই সময় অপর অভিযুক্ত মো. বেল্লাল ঘটনাস্থলে এসে যোগ দেয়।

পুলিশ আরও জানায়, পরিকল্পিতভাবে রাত সোয়া ১ টায় সবুজ হাওলাদারকে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রেখে সটকে যায়। লাল চাঁনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, অপর আসামি বেল্লালকেও একই দিন সকাল সাড়ে ৬টা গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা উভয়েই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। এঘটনায় মহিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কি না, তা অধিকতর তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

রাজু

×