
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
কথিত যুবদল কর্মীরা গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্যর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করা হয়। অবশেষে প্রাণ বাঁচাতে ইউপি সদস্য আড়াই লাখ টাকা দিয়েছেন। এরপরেও হামলা থেকে সে রেহাই পায়নি।
শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে ইউপি সদস্য আতাহার মাতুব্বরকে একটি দোকানের মধ্যে আটকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সাহেবের চর বাজারের।
হামলার স্বীকার ইউপি সদস্য সরিকল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সাহেবের চর গ্রামের বাসিন্দা।
ওইদিন দুপুরে হামলায় আহত ইউপি সদস্য আতাহার মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, সকালে স্থানীয় পদহীন যুবদল কর্মী ওসমান হাওলাদার তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক মাস যাবত আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে যুবদল কর্মী ওসমান হাওলাদার ও তার সহযোগিরা। চাঁদার টাকা না দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে প্রাণ বাঁচাতে সম্প্রতি তাদের আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দেওয়া হয়েছে। এরপরেও চাঁদার বাকি টাকার জন্য ওসমান ও তার সহযোগিরা তাকে (ইউপি সদস্য) চাঁপ প্রয়োগ করে আসছিলো।
অভিযোগ করে তিনি (ইউপি সদস্য) আরও বলেন, শনিবার সকালে সাহেবের চর বাজারের নিজের দোকানে বসা ছিলাম। এসময় যুবদল কর্মী ওসমান হাওলাদার আমাকে দোকান থেকে ডেকে পাশ্ববর্তী আবু বকরের ভাতের হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে চাঁদার বাকি টাকা পরিশোধ না করায় ওসমান ও তার সহযোগি রাকিব রাঢ়ী, রাসেল হোসেন, টিপু রাঢ়ী, আবু বকর ও সাগর শারিরিকভাবে অমানুষিক নির্যাতন করে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তবে চাঁদা দাবি ও হামলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে যুবদল কর্মী ওসমান হাওলাদার বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরধরে ইউপি সদস্যর ওপর কেবা কারা হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
ইউপি সদস্যর লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ###
ফারুক