ছবি: জনকণ্ঠ
নড়াইলে বিএনপি ও নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে সদরের চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যখালী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে থেকে চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি সাইদুর মোল্যা এবং একই ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ মোল্যার মধ্যে গ্রাম্য আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত শুক্রবার বিকেলে সাইদুর গ্রামের সমর্থক জিল্লুর রহমানকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করলে এর জেরে শনিবার সাড়ে ১১ টার দিকে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আলমগীর শেখ (৪২), রহমান সরদার (৫৫),এসকেন সরদার (৫৫),মহাসেন সরদার (৫৭), মাহিম (১৯), লিমন সরদার (২৫), শরিফুল মোল্যা (৪৫), রোস্তম সরদার (৫৫), কেসমত মোল্যা (২৭), শফিক মোল্যা (৩৫), রেহাব মোড়ল (২২), সাদ্দাম সিকদার (৩২), নূর ইসলাম (৪০) ও সৌরভ সিকদার (১৫) নড়াইল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
সংঘর্ষে আহত লিমন সরদার অভিযোগ করে বলেন, যুবদলের একটি মিছিলে যাওয়ায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের মাতব্বর ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি সাইদ মোল্যার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জেলা কৃষক দলের সভাপতি নবির হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) গন্ধর্ব্যখালী গ্রামের যুবদল নেতা রাসেলের নেতেৃত্বে একটি মিছিল নড়াইল শহরে আসে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আ’লীগ নেতা সাইদুর মোল্যার লোকজন বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তবে সাইদুর গ্রুপের অপর এক মাতব্বর স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাফর শেখ বলেন, আমি একজন মৎসজীবী দলের নেতা। এটা কোন দলীয় কোন্দল নয়। গ্রাম্য কোন্দলের জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তারা প্রশাসনিক সুবিধা নেয়ার জন্য ঘটনাটিকে রাজনৈতিক মারামারি বলে প্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনি। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
আবির
