
ছবি: জনকণ্ঠ
আবদার ছিল ফুচকা খাওয়ার। কিন্তু কর্মজীবী স্বামী কাজের চাপে আনতে পারেননি। তারপর আবার রাতের বেলা মোবাইল দেখতে বারণ। আর তাতেই প্রচন্ড অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন গৃহবধূ মারজিয়া আক্তার (১৮)।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের দিয়ারাম খোলা গ্রামের ঘটনা। আজ শনিবার দুপুরে মহিপুর থানা পুলিশ মারজিয়ার ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। মৃত মারজিয়া আক্তার ওই গ্রামের জাহিদ প্যাদার স্ত্রী। তারা পরস্পর চাঁচাতো ভাইবোন ছিলেন। মারজিয়া একই ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা আলম প্যাদার মেয়ে।
মারজিয়ার স্বামী জাহিদ প্যাদার দাবি, গতকাল শুক্রবার রাতে তার স্ত্রী তাকে ফুচকা আনতে বলেছিল। কিন্তু মাছের আড়তে কাজের চাপ ছিল। অনেকে রাতে বাসায় ফেরেন। ফুচকা আনতে পারেননি। কিন্তু মাছ নিয়ে বাসায় ফেরেন। এ নিয়ে প্রচন্ড অভিমান ছিল তার। মাছ কাটাকুটা শেষে মোবাইল হাতে নেয় মারজিয়া। অনেক রাতে মোবাইল দেখতে বারণ করেন, ঘুমানোর জন্য তাগিদ দেন। অভিমান থেকে রাগ হয়। বিছানা থেকে বারান্দায় গিয়ে ঘুমায়। জাহিদও ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের বারন্দায় স্ত্রী মারজিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখেন। ওড়না গলায় পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশকে জানানো হয়।
মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান জানান, এক গৃহবধূর ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আবির