ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

ফিরে দেখা জুলাই : আমরা ক্যামেরার সামনে কাজ করি, বুঝি কোনটা অ্যাক্টিং

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ১৯ জুলাই ২০২৫

ফিরে দেখা জুলাই : আমরা ক্যামেরার সামনে কাজ করি, বুঝি কোনটা অ্যাক্টিং

গতবছর  জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের মাধ্যমে, যা সরকারের দমন-নিপীড়নের ফলে গণমানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল।

ছাত্রদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে তালবাহানা করতে করতে হাসিনা সরকারের  নিপীড়ন পৌঁছায় জনগণের সহ্যের চরম পর্যায়ে। আন্দোলনকে ধামা চাপা দিতে মিছিলে গুলি করা থেকে শুরু করে শুরু হয় নিরপরাধ মানুষকেও হত্যা করা। 

ছাত্রদের পাশে দাড়াতে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষরা। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন, পুলিশি দমনপীড়ন ও গণঅসন্তোষের পটভূমিতে জন্ম নেওয়া এই জনআন্দোলনের অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন গণমাধ্যম, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের অনেকে। তাদেরই একজন আসাদুজ্জামান আসাদ। নিজের বলিষ্ঠ কণ্ঠে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ফ্যাসিস্ট সরকারের। 

তিনি বলেন, “এই আন্দোলন এখন আর শুধু ছাত্রদের নয়, এখন এটা পুরো জাতির আন্দোলন।”

তিনি সরাসরি গণমাধ্যমকর্মীদেরকেও আহ্বান জানিয়ে বলেন, আন্দোলন কি শুধু আমাদের? আপনাদের আন্দোলন না? আপনারা তো এদেশের গণকর্মী। আপনি এখন আমার জায়গায় দাঁড়ান, আমি আপনাদের ক্যামেরা-বুম নিয়ে দাঁড়াই। আপনার কি নিরাপত্তা আছে কয়েকদিন পরে?

তিনি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “আপনি এই ঢাকা শহরে খেলার মাঠ নাই, বাচ্চারা ছাদে যেতে পারছে না—হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করা হয়েছে। কয়টা সত্যকে আপনারা আড়াল করবেন?”

তিনি আরও বলেন, “একেকটা সন্তানকে রাস্তায় রক্তাক্ত করে মেরেছেন। কয়টা মায়ের বুক খালি করেছেন? কি দোষ ছিল এই বাচ্চাগুলোর? এই জেনারেশনকে অনেক গালাগালি করেছেন—এরা কিছুই পারে না বলেছেন। কিন্তু এখন দেখিয়ে দিয়েছে। আজকের ছাত্ররাই দেখিয়ে দিয়েছে।"

 

 

সানজানা

×