
তেজপাতা একটি মশলা জাতীয় ফসল। রান্না ঘরে বা রেস্টুরেন্টে তেজপাতা ছাড়া রান্না হয় না। তরকারি ছাড়াও বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরিতেও তেজপাতা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তেজপাতার অনেক ঔষধি গুণও রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক জেলায় তেজপাতার গাছ দেখা গেলেও বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ কম দেখা যায়। তবে লালমনিরহাট জেলায় বাণিজ্যিকভাবে তেজপাতার আবাদ হচ্ছে। একটি গাছ থেকে বছরে দুই বার পাতা তোলা যায়। তেজ পাতা চাষ করে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন।
জানা যায়, প্রথমে জমি ক্রয় করে তেজপাতার চারা রোপণ করতে হয়। এরপর জমিতে প্রতি বছর সেচ দিতে হয়। বছরে দুই বার সার দিতে হয়। অন্য ফসলের তুলনায় তেজপাতা চাষে খরচ কম।
কালিগঞ্জ উপজেলার তেজপাতা চাষি মো. ইউনুস আলী বলেন, তেজপাতা চাষে তেমন খরচ হয় না। চারা লাগানো আর একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলেই চলে। রোগ বালাই বলতে তেমন কিছুই নেই। তবে বসন্তের সময় একটু পোকা লাগে। সেই সময় একটি ওষুধ স্প্রে করতে হয়।
আদিতমারী উপজেলার তেজপাতা চাষি সুমন আলী বলেন, তেজপাতা সাথি ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। এতে এক সাথে দুই ধরনের ফসল পাওয়া যায়।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, আমরা তেজপাতা গাছ লাগাতে মানুষকে উৎসাহিত করছি। চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে পাট চাষে এগিয়ে এসেছেন। এ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষকরা লাভবান হবেন।
সজিব