ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে  

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর

প্রকাশিত: ১৯:১২, ২০ মে ২০২৩

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে  

শাজাহান খান এমপি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি বলেছেন, ‘অসংখ্য মানুষকে বিএনপির হাতে জীবন দিতে হয়েছে। সেই বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলে মাঠ গরমের চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না। 

পৃথিবীতে বহু গণতান্ত্রিক দেশ রয়েছে, সে সব দেশে যেভাবে জাতীয় নির্বাচন হয়, ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে, এর বাইরে নির্বাচন করার কোন সুযোগ নেই। বার বার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব ধ্বংস করছে। 

তাই আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে পথ সৃষ্টি হয়েছে, সেটা বিএনপিকে সারিয়ে তোলার আহবানও জানান তিনি। শনিবার সকালে মাদারীপুর শহরের লেকেরপাড়ে ৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ তলাবিশিষ্ট নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু ‘ল’ কলেজ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের ভূমিকা টেনে শাজাহান খান বলেন, ‘জাপান যেমন দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল, তেমনি পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশও ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে। 

এমনকি পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতেও বাধ্য করা হবে। পাকিস্তান ৭৫ বছরেও একটি সরকার একসাথে ৫ বছরও টিকে নাই। আর বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে যে পাকিস্তানের সাংবাদিকরাও বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানকে বানাতে প্রস্তাব দেয় সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। 

শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছিলেন বলেই তারেক জিয়া লন্ডনে বসে ভিডিও কলে নেতাকর্মীদের সাথে মিটিং করে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন, সেটা নিয়ে কাজ করছে সরকার।’

মাদারীপুরে উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরে শাজাহান খান আরো বলেন, ‘যেখানে এই বন্ধবন্ধু ‘ল’ কলেজটা দাঁড়িয়ে আছে মনে রাখবেন, এই জায়গাটা সেই জায়গা, যেখানে বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান অনেকদিন চাকরী করেছেন। বন্ধবন্ধু তার বাবার চাকরীর সুবাদে এখানে এসেছেন। এখানেই ইসলামিয়া হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করেছেন এবং মাদারীপুরে অনেক সময় কাটিয়েছেন। এই মাদারীপুরেই তাঁর রাজনীতিতে হাতে খড়ি। 

সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। তখন আমাদের শ্রদ্ধেয় বাবু ভাই তিনি প্রস্তাব উত্থাপন করলেন। এখানে বঙ্গবন্ধু ‘ল’ কলেজ করতে হবে। প্রস্তাবটা নেত্রীর কাছে গেলো। 

তিনি এই ব্যাপারে সম্মতি দিলেন। এই ‘ল’ কলেজ উদ্বোধন করতে আসলেন আমাদের সাবেক মন্ত্রী মরহুম মোঃ নাসিম। দীর্ঘদিন ওই বিটিশ আমলের টিন শেটেই কলেজ করেছেন আপনারা। শিক্ষকরা এখানে শিক্ষাকতা করেছেন। 

এখানে কিন্তু তেমন উন্নয়ন হয়নি। শেষ পর্যন্ত শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে কলেজ ভবন করা হলো। ধন্যবাদ জানাই এই সুন্দর বিল্ডিং করার জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে। এটা একটা দৃষ্টিনন্দন বিন্ডিং হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত হই যে, মাদারীপুরে অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ শুরু হয়েছে। এইযে পাশেই দাঁড়িয়ে আছে সরকারী সমন্বিত অফিস ভবন, এর পরিকল্পনাটিও আমার। 

একমাত্র ভবন এটি যা বাংলাদেশে প্রথম, যা প্রধানমন্ত্রী নিজে ভবনটি উদ্বোধন করেছেন। এখন গোপালগঞ্জসহ দেশের অন্যান্য জেলায় বিল্ডিং করা শুরু হয়েছে। আপনারা লক্ষ্যে করেছেন আরেকটি কাজ হচ্ছে এই লেকের পাড়ে, সেটি হলো ‘পলাশি থেকে ধানমন্ডি’ নামে একটা মনুমেন্ট। এটাও হবে বাংলাদেশে প্রথম। 

এখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি হবে, যার উচ্চতা হবে বত্রিশ ফুট। তার পাশে চার জাতীয় নেতার ছবি থাকবে। একপাশে পলাশি আর একপাশে ধানমন্ডির ছবি থাকবে। আপনারা জেনে খুশি হবেন এটাও কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম প্রকল্প। আরো একটি কাজ হবে এই লেকের পাড়ে। তা হলো জয় বাংলা স্তম্ভ। এটাও হবে বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম।’

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মাসুদ আলম খান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম খান, সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম বাবু চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু ‘ল’ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট রেজাউল করিমসহ অনেকেই।

 

এমএস

×