ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধদিনের স্মৃতি ॥ কমান্ডার জাহিদ হোসেন জাফর

এমএ রকিব, কুষ্টিয়া

প্রকাশিত: ০০:৪৪, ১ ডিসেম্বর ২০২২

যুদ্ধদিনের স্মৃতি ॥ কমান্ডার জাহিদ হোসেন জাফর

একাত্তরের ৫ সেপ্টেম্বর

একাত্তরের ৫ সেপ্টেম্বর। ভোরের অন্ধকার ছাপিয়ে কুষ্টিয়া বংশীতলার আকাশে উদিত হয়েছে রক্তিম সূর্য। পাক হানাদারদের অপেক্ষায় সেখানে বাঙ্কারসহ শক্ত প্রতিরোধ গড়ে বিভিন্ন স্থানে ওঁৎ পেতে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। কখন প্রবেশ করবে হানাদার বাহিনী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরাজ করছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর উত্তেজনা। এক সময় সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটে। তখন ঘড়ির কাঁটায় সকাল প্রায় সাড়ে ৮টা।

পাকি সেনাদের বৃহৎ একটি দল দূর্বাচারা গ্রামে অবস্থিত মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণের উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া থেকে ৮/৯ কি.মি. দূরে ভাদালিয়াবাজার হয়ে বংশীতলা গ্রামের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। দূর্বাচারা গ্রামে যাবার পথ এটিই। হানাদাররা এক সময় কিছু না বুঝেই বংশীতলা  মোড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যাম্বুশে ঢুকে পড়ে। সেই মুহূর্তে মুক্তিযোদ্ধারা আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তাই পুরো বাহিনী অ্যা¤ু^শে প্রবেশ করার আগেই গর্জে ওঠে তাদের ‘এলএমজি’।

ব্রাশ ফায়ারে ঘটনাস্থলেই খতম হয় পাক অফিসার ক্যাপ্টেন জামিলসহ ৩৫/৪০ হানাদার। অন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। দিনব্যাপী বিক্ষিপ্তভাবে চলে এই সম্মুখযুদ্ধ। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে শহীদ হন ১৪/১৫ বীরসেনা। তাদের মধ্যে তাজুল ইসলাম, সাবান আলী, দিদার আলী, ইয়াকুব আলী, আব্দুল মান্নান ও গোলাম মস্তোফা রাজ্জাক এই ছয়জনকে ওই দিন সন্ধ্যায় দাফন করা হয় দূর্বাচারা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে।

শহীদ আবু দাউদ, খোরশেদ আলম দিল, মিরাজুল ইসলাম, সুরুজ লাল, মেজবার আলী, চাঁদ আলী, মোবারক আলী ও কিয়াম উদ্দিনের কবর দেয়া হয় পৃথক পৃথক স্থানে। সেদিনের ভয়ংকর সেই যুদ্ধের কথা স্মরণ হলে আজও শিউরে উঠতে হয়।
মহান বিজয়ের মাসে জনকণ্ঠের কাছে এভাবেই যুদ্ধদিনের স্মৃতি তুলে ধরেন কুষ্টিয়ার ‘বংশীতলা’ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মো. জাহিদ হোসেন জাফর (বিএলএফ)। তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি এলাকার বাসিন্দা। ১৯৬৫ সাল থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক। ১৯৭০ সালের দিকে জাহিদ হোসেন জাফর কুষ্টিয়া সদর মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
একাত্তরে পাক আর্মিদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্ববৃহৎ গেরিলা যুদ্ধ সংঘটিত হয় ‘বংশীতলা’ এলাকায়। যুদ্ধটি বংশীতলার যুদ্ধ নামেই পরিচিত। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী (বর্তমানে কাঞ্চনপুর ইউপি) ইউনিয়নের গ্রাম এটি। বংশীতলা তিন রাস্তা মোড়ের একদিকে ভাদালিয়া বাজার। একদিকে উজানগ্রাম ইউনিয়নের দূর্বাচারা গ্রাম এবং অপরদিকে রয়েছে লাহিনীবটতলা-কুষ্টিয়া যাওবার রাস্তা।

ভাদালিয়া বাজার থেকে সড়কপথে বংশীতলার দূরত্ব ৬ কি.মি.। বংশীতলা থেকে দূর্বাচারা গ্রামের দূরত্ব ৩ কি.মি.। বংশীতলা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া জাহিদ হোসেন জাফর বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে যাবার পরিকল্পনা করি। একাত্তরের এপ্রিলে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের করিমপুর বর্ডারে চলে যান। পরে সেখান থেকে আ স ম আব্দুর রব, নূরে আলম জিকু, অ্যাডভোকেট আব্দুর বারী করিমপুর এসে জাহিদ হোসেন জাফরসহ ১৫/২০ জনকে প্রথমে কলকাতা নিয়ে যান।

পরে তাদের ভারতের বাগডোগরার চাকারতা ক্যান্টনমেন্টে পাঠানো হয়। সেখানে মেজর জেনারেল (অব) উবানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) প্রথম ব্যাচকে ৪২ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রথম ব্যাচেই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন জাহিদ হোসেন জাফর। প্রশিক্ষণ শেষে তাদেরকে করিমপুর বর্ডার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হয়।

কমান্ডার জাহিদ জানান, ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কুষ্টিয়ায় ফেরার পর তাঁরা একটি আশ্রয় খুঁজছিলেন। এ সময় জানতে পারেন- উজানগ্রাম ইউনিয়নের ‘দূর্বাচারা’ গ্রামে বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান করছে। সেখানে কয়েকটি বড় ক্যাম্প রয়েছে। তাদেরকে দেখভাল করেন উজানগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এলাকার সংগঠক মরহুম ছলিম উদ্দিন বিশ^াস। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাও করেন। ছলিম উদ্দিন বিশ^াসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের আশ্রয় দেন।

উনার তত্ত্বাবধানে আমরা দূর্বাচারায় থাকা শুরু করলাম। ছলিম বিশ^াসের পরামর্শে আমরা দূর্বাচারা গ্রামের যুবকদের মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং দেওয়ার এই খবরটি রাজাকার ও শান্তি কমিটির মাধ্যমে কুষ্টিয়ায় পাক আর্মিদের কাছে পৌঁছে যায়। এর প্রতিশোধ নিতেই পাক হানাদাররা দূর্বাচারায় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে আক্রমণের পরিকল্পনা করে। চেয়ারম্যান ছলিম উদ্দিন বিশ্বাসের কাছে এমন খবর আসে।

এ সংবাদ পাওয়ার পর চেয়ারম্যান এবং বিএলএফ নেতা মির্জা জিয়াউল বারী নোমানসহ কয়েক কমান্ডার বিষয়টি নিয়ে গভীর চিন্তা করে পরিকল্পনা তৈরি করেন।
যুদ্ধের বর্ণনা দিয়ে বিএলএফ কমান্ডার জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ওই যুদ্ধের দুই- তিন দিন আগেই আমরা জানতে পারলাম দূর্বাচারায় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে পাকবাহিনী অ্যাটাক করবে। আমরা (মুক্তিযোদ্ধারা) এ হামলা প্রতিহত করার প্রস্তুতি নিলাম। বংশীতলা মোড় এলাকায় বাঙ্কারসহ শক্ত প্রতিরোধের ব্যবস্থা করি এবং বিভিন্ন স্থানে পজিশন নিয়ে মহড়া দিতে থাকলাম।

হানাদার বাহিনীর অপেক্ষায় আমরা প্রতিদিনই ভোরে সেখানে অ্যাম্বুশ করতাম। আর দুই-তিন ঘণ্টা পর ক্যাম্পে ফিরে আসতাম। ৪ সেপ্টেম্বর তারিখেও আমাদের একই প্রস্তুতি ছিল। জাফর জানান, এরই মধ্যে সোর্স মাধ্যমে খবর পেলাম, হানাদার বাহিনী ৫ সেপ্টেম্বর ভোরে ভাদালিয়া বাজার হয়ে সড়ক পথে দূর্বাচারায় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে আক্রমণ করতে আসবে।

এ সংবাদ পাওয়া মাত্রই ৫ সেপ্টেম্বর ভোর থেকেই কুষ্টিয়া জেলা বিএলএফ কমান্ডার মির্জা জিয়াউল বারী নোমান, ডেপুটি কমান্ডার জাহিদ হোসেন জাফর ও আবুল কাশেমের সার্বিক নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের তিনটি গ্রুপ বংশীতলা এলাকায় তিনদিকে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলে পাক আর্মিদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। মূলত তিনটি গ্রুপ এই প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেয়। কিন্তু সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে থেকেও পাক আর্মিদের কোনো খোঁজ না পেয়ে সবাই ভাবলাম আজ আর ওরা আসবে না।

এই কথা ভেবে সকালে নাস্তা-খাওয়া-দাওয়ার জন্য আমরা অ্যাম্বুশ ছেড়ে উঠে আসি এবং একটু দূরেই খাওয়া-দাওয়া শুরু করি। কেউ চিড়া-মুড়ি খাচ্ছি। কেউ রুটি, কেউ পান্তা ভাত খাচ্ছি। এমন সময় হঠাৎ করেই খবর আসে পাক আর্মিরা বংশীতলার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তখন সকাল প্রায় সাড়ে ৮টা। এ খবর শোনামাত্রই মুক্তিযোদ্ধারা সমস্বরে হৈ হৈ করে ওঠে এবং খাওয়া-দাওয়া ফেলে পূর্বের পরিকল্পনা মতো যে যেখানে ছিল সে সেখানে অ্যাম্বুশ করে। এদিকে ঘটনার আকস্মিকতায় কমান্ডারসহ আমরা অনেকেই হকচকিয়ে যাই এবং কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। কিন্তু পরমুহূর্তেই সব নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেই।
এই যুদ্ধে আমাদের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাজুল ইসলামসহ বেশ কয়েক মুক্তিযোদ্ধা এখানে শহীদ হন। জাহিদ হোসেন জাফর বলেন, পাক হানাদার বাহিনী যখন মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যাম্বুশে ঢুকে পড়ে ওই মুহূর্তে সম্মুখে অবস্থান নেয়া মুক্তিযোদ্ধারা তাদের আবেগ ধরে রাখতে পারেনি। পাকি সেনারা কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ সড়কের ভাদালিয়া বাজার হয়ে বংশীতলা মোড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যাম্বুশে প্রবেশ করে।

পাক আর্মিরা সংখ্যা ছিল ৫০ জনের মতো। তাদের পেছনে ছিল কভারিং গ্রুপ। আর মুক্তিযোদ্ধারা সংখ্যায় ছিল মোট ৫৮ জন। তারা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অপারেশন পরিচালনা করছিল। যুদ্ধ শুরু হবার ২/৩ ঘণ্টা পর বাইরে থেকে আরও কিছু মুক্তিযোদ্ধা এসে আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়। হানাদার বাহিনী অ্যাম্বুশে ঢোকা মাত্রই তাজুল ইসলামসহ মুক্তিযোদ্ধারা এলএমজি দিয়ে ব্রাশ ফায়ার শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই পাক আর্মির ক্যাপ্টেন জামিলসহ অন্তত ৩৫/৪০ জন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

এ সময় পেছন থেকে হানাদারদের কভারিং গ্রুপের পাল্টা ব্রাশ ফায়ারে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন তাজুল ইসলামসহ ৭/৮ মুক্তিযোদ্ধা। তাজুল ইসলাম ছিলেন ওই সময় অনার্স পড়ুয়া ছাত্র এবং সদ্য বিবাহিত। স্ত্রীর হাতের হলুদ থাকা অবস্থাতেই তিনি ট্রেনিংয়ের জন্য ভারতে যান। সেখান থেকে কুষ্টিয়া ফিরেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বংশীতলা যুদ্ধে শহীদ অন্যান্যরা হলেন- সাবান আলী, দিদার আলী, ইয়াকুব আলী, আব্দুল মান্নান, গোলাম মস্তোফা রাজ্জাক, আবু দাউদ, খোরশেদ আলম দিল, মিরাজুল ইসলাম, সুরুজ লাল, মেজবার আলী, চাঁদ আলী, মোবারক আলী ও কিয়াম উদ্দিন।

সকাল প্রায় সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল প্রায় সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সারাদিন বিক্ষিপ্তভাবে চলে এই যুদ্ধ। তবে মূল লড়াই হয় দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত। এর মধ্যেই শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের লাশগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। পিছু হটা পাক আর্মিরাও তাদের লাশ গাড়িতে তুলে নেয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণের মুখে পাক হানাদারদের বিশাল সৈন্যবাহিনী সেদিন অপ্রত্যাশিতভাবে পরাজিত হয়। তারা দূর্বাচারায় ঢুকতে না পেরে পিছু হটে এবং কুষ্টিয়ার বিত্তিপাড়া ও টেক্সটাইল মিলের ক্যাম্পে ফিরে যায়।

যাবার সময় হানাদাররা দূর্বাচারা ও বংশীতলা গ্রাম লক্ষ্য করে অনবরত শেলিং করতে থাকে। এতে এলাকার অনেক ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়। গবাদিপশু মারা যায়। বিকেলে মুক্তিযোদ্ধাদের লাশগুলো দূর্বাচারা বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন বিকেল ৫টা বাজে। ওইদিন সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের লাশগুলো দূর্বাচারা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে দাফন করা হয়। এই যুদ্ধে শুধুমাত্র বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) ও ফ্রিডম ফাইটাররা (এফএফ) অংশগ্রহণ করেন।

পরাজয় নিয়ে সেদিন ফিরে গেলেও দুইদিন পর ৭ সেপ্টেম্বর পাক হানাদাররা পুনরায় দূর্বাচারা গ্রামে ঢুকে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ধর্ষণ চালায়। তারা দুই জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। ছলিমউদ্দিন বিশ্বাস চেয়ারম্যানের বাড়িসহ অনেক হিন্দুপাড়া পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে বংশীতলা মোড়ে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। এছাড়া ছয় কবরে নির্মাণ করা হয় ‘দূর্বাচারা স্মৃতিস্তম্ভ রক্তঋণ-১ কুষ্টিয়া’। প্রতিবছর স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারিভাবে এখানে বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এতে সর্বস্তরের মানুষও অংশগ্রহণ করেন।
কমান্ডার জাহিদ হোসেন জাফর বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেত্বত্বে বর্তমান স্বাধীনতার সপক্ষের সরকারের সময় আমরা ভালো আছি। ভাতা হিসেবে আমরা যে টাকা পাই, তা দিয়ে একটি ছোট পরিবারের জন্য অনেক উপকার হচ্ছে। তা না হলে অনেক মুক্তিযোদ্ধা বিনা চিকিৎসায় মারা যেতেন।

×