ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষক মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর 

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ৩০ নভেম্বর ২০২২

শিক্ষক মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

কাজী এনামুল হক

মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ৪৩ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী এনামুল হককে শ্রেণীকক্ষে মারধরের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে। 

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ক্লাস চলাকালীন দেলোয়ার খান শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষক এনামুল হককে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারে। এরপর এনামুল হককে হুমকি দিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় শিক্ষক কাজী এনামুল হক সন্ধ্যায় দেলোয়ার খানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাত ১০টায় তাকে সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ। 

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, সদর উপজেলার কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি পুরি সিঙ্গারার দোকান করেন দেলোয়ার খানের মামাতো ভাই। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতার কথা চিন্তা করে নিয়মিত বাইরের দোকান থেকে পুরি-সিঙ্গারা খেতে নিষেধ করেন শিক্ষক এনামুল হক। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন দেলোয়ার খান। 

মঙ্গলবার দুপুরে ক্লাস চলাকালীন দেলোয়ার হঠাৎ শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষক এনামুল হককে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারে। এরপর এনামুল হককে নানা হুমকি দিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযোগ আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে অভিযুক্ত দেলোয়ার খানকে গ্রেপ্তার করে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক এনামুল হক বলেন, ক্লাসে ঢুকে সব শিক্ষার্থীর সামনে আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করেছে। এর চেয়ে মরেও যাওয়াও ভালো ছিল। যদি কোন ভুলও করে থাকি, তাহলে সে আমাকে ডেকে শুনতে পারতো। কিন্তু সেটা না করে দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সে আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করলো। এ ঘটনায় আমি তার কঠোর বিচার দাবী করছি।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। কোন শিক্ষকের শরীরে আঘাত দেয়া চরম বাজে কাজ।

 

এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×