ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রামুর লাওয়ে জাদি ধসে পড়ার আশঙ্কা

সংবাদদাতা, রামু, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ২৯ নভেম্বর ২০২২

রামুর লাওয়ে জাদি ধসে পড়ার আশঙ্কা

ইতিহাস ঐতিহ্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে ভরপুর প্রাচীন জনপদ রামুর কাউয়ারখোপের লট উখিয়ার ঘোনায় জাদি

ইতিহাস ঐতিহ্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে ভরপুর প্রাচীন জনপদ রামুর কাউয়ারখোপের লট উখিয়ার ঘোনায় জাদি পাহাড়ের উচ্চ চূড়ায় তিন শ’ বছরেরও বেশি পুরনো ইতিহাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে লাওয়ে জাদি। নিচে বাঁক নিতে নিতে বয়ে গেছে বাঁকখালী। সমতল থেকে তিন শ’ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই জাদি নির্মিত হয় ১৭১০ সালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্মাণের পর ১৯৯২ সালে একবার কিছু  মেরামত করা হয় এরপর স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টায় ২০১০ সালে জাদির গায়ে সোনালি রং লাগানো হয়। দূর থেকে দেখে মন হয় সবুজের বুক চিড়ে জেগে ওঠা কোনো দ্বীপ- যা অনায়াসে সবার মন কাড়ে। যেখানে প্রতিদিন আসে দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক। সরেজমিনে দেখা যায়, জাদিতে ওঠার নেই কোনো সিঁড়ি। কি অপরূপ নির্মাণশৈলী, জাদির চারদিকে প্রদীপ জ্বালানোর কুঠুরি।

পাহাড়ের বুকে সোনালি রঙের এমন দৃষ্টিনন্দন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুব কমই চোখে পড়ে। ৭০ ফুট উচ্চতার এই জাদিটি যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে এটি। খুব দ্রুত জাদির চারপাশে গাইড ওয়াল না দিলে অচিরেই কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এই পুরাকীর্তি।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদ কক্সবাজারের সভাপতি এমইউপি রিটন বড়ুয়া জানান, রামুতে ২৭টি বৌদ্ধ মন্দির ও প্যাগোডা রয়েছে। তার মধ্যে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এই বৌদ্ধ জাদির গুরুত্ব অন্যরকম। যা একেবারেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

×