ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিন সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় মা-বাবা 

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ২৯ নভেম্বর ২০২২

তিন সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় মা-বাবা 

একসঙ্গে তিন কন্যা শিশু

এক সঙ্গে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে বিপাকে পড়েছে দিন এনে দিন খাওয়া একটি পরিবার। সকলের সহযোগিতা চান অসহায় ওই পরিবারটি। সরেজমিনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১১ নং গিদারী ইউনিয়নের বাগুড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখা মেলে ওই গ্রামের মুন্না মিয়া ও সুমী আক্তারের ঘরে জন্ম নেয়া তিন কন্যা সন্তানের। তারা সুস্থ আছে। 

সহায় সম্বলহীন শিশুটির পিতা মুন্না মিয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি একদিন কাজে না গেলে আমার পরিবারের সদস্যকে না খেয়ে থাকতে হয়। দুই মাস আগে আমার স্ত্রীর কোল জুড়ে এসেছে তিন কন্যা সন্তান। এতে আমি ও আমার পরিবার মহাখুশি। তবে ভূমিষ্ট তিন কন্যা শিশুর খাবারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে আমাকে মহা বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বর্তমানে আমি কী করবো তা নিয়ে চিন্তায় আছি। সকলের সহযোগিতা পেলে আমার সন্তান গুলোর ভবিষ্যত ভাল হতো।

শিশুটির জন্ম দেয়া মা সুমি বেগম বলেন, আমি যখন জানতে পারি আমার গর্ভে তিন সন্তান রয়েছে। তখন একটু দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম। তারপরে সন্তান জন্ম দেয়ার আগে আমি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হলে সেখানে নরমালে আমার তিন সন্তানের জন্ম হয়। আমিও আমার স্বামীর মতো মহাখুশি একসঙ্গে তিন কন্যা শিশুকে পেয়ে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান বলেন, এই পরিবারটির জায়গা জমি না থাকায় বর্তমানে সরকারী বাঁধের সঙ্গে একটি ঘর তুলে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছে। এদের পরিবারে তিন সন্তান এক সঙ্গে জন্ম নেওয়ায় ওই পরিবারটির পাশাপাশি আমরাও দুচিন্তায় আছি। কীভাবে লালন পালন হবে এই বাচ্চা গুলো। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এদের সহযোগিতায় এলাকাসহ দেশের বিত্তবান মানুষের এগিয়ে আশা উচিত।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রমজান আলী বলেন, আমি প্রতিনিয়ত এই পরিবারটির খোজ খবর রাখছি। আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব এই পরিবারে একসঙ্গে তিন সন্তান জন্ম নেয়ার বিষয়টি অবগত আছেন। আগামীতে সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা আসলে এই পরিবারটিকে দেয়া হবে।

এক সঙ্গে একই পরিবারে তিন সন্তান জন্ম নিয়েছে বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে কথা হলে ১১ নং গিদারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদু মিয়া বলেন, আমি বিষয়টি অবগত আছি ও ইউপি সদস্যকে সার্বক্ষণিক ঐ পরিবারটির খোঁজ খবর রাখতে বলেছি। সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা পাওয়া গেলে আগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিবারটিকে দেয়া হবে।

 

এসআর

×