ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নেসলে কোম্পানীর কর্মী দুলাল খুন

আড়াই বছর পর রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর 

প্রকাশিত: ২২:০৮, ১৭ নভেম্বর ২০২২

আড়াই বছর পর রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই

শ্রীপুরে খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত হাসান ইবনে মারুফ আনসারী ও ইনসেটে নিহত দুলাল মিয়া।  

গাজীপুরের শ্রীপুরে টাকা ছিনিয়ে নিতে নেসলে কোম্পানীর এক কর্মীকে খুন করা হয়েছে। খুনের পর তার লাশ হাসপাতালে পৌছে দিয়েছে হত্যাকারীরা। ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

বৃহষ্পতিবার গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতের নাম- হাসান ইবনে মারুফ আনসারী (২৪)। সে গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন নোয়াগাঁও এলাকার মৃত জালাল উদ্দিন আনসারীর ছেলে।

পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন রাজাবাড়ী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এলাকার আমির হোসেনের ছেলে দুলাল হোসেন (৩৫) নেসলে বাংলাদেশ এর নুডুলস্ বিভাগে চাকুরী করতেন। 

গত ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষ করে বাড়ী ফিরছিলেন দুলাল। পথে রাজেন্দ্রপুর পেপসি গেইট এলাকার এটিএমবুথ থেকে টাকা উত্তোলন করেন তিনি। মেইন রোডে সহকর্মী শামীমের মোটরসাইকেল থেকে নেমে সরু পথ দিয়ে পায়ে হেটে বাড়ির কাছে পৌছেন দুলাল। 

এসময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিবেশী হাসান ইবনে মারুফ আনসারী ও তার দুই সহযোগী যুবক ওই টাকা ছিনিয়ে নিতে বাঁশ দিয়ে দুলালের মাথায় আঘাত করে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দুলাল। 

পরে হামলাকারী যুবকরা তার কাছ থেকে টাকা ভর্তি মানিব্যাগ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় এবং মানিব্যাগের টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। এ ঘটনার পর ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দুলালকে মাটিতে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার বাড়িতে সংবাদ দেন প্রতিবেশী মাসুম মাষ্টার। 

তিনি (মাসুম মাষ্টার) তার ছোটভাই হাসান ইবনে মারুফ আনসারীকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। পরে হাসান ইবনে মারুফ আনসারী এবং তার ভাই মাসুম মাস্টার ঘটনাস্থল থেকে দুলাল হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে বাসায় এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দুলাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

তিনি আরো জানান, চাঞ্চল্যকর এ খুনের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। শ্রীপুর থানা পুলিশ এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় পিবিআই’কে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে খুনের এ ঘটনায় জড়িত হাসান ইবনে মারুফ আনসারীকে গ্রেফতার করেন। 

গ্রেফতারকৃত হাসান নিজেকে জড়িয়ে খুনের এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামীদের নাম উল্লেখ করে বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এরপ্রেক্ষিতে ক্লুলেস এ ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে।

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×