ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা

ভবনের মধ্যে দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ৪ নভেম্বর ২০২২

ভবনের মধ্যে দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন

বিল্ডিংয়ের ভেতর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর সেলিম খানসহ তার ভাই আলমগীর হোসেন ও হারুন আর রশিদ খানের নির্মিত তিনটি বাসভবনের দ্বিতীয় তলার মধ্য দিয়ে ৩৩ কেভি ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন চলে গেছে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তাদের পরিবারসহ বাড়ির লোকজন। লাইনটি সরানোর জন্য তারা বার বার লিখিত আবেদন করেছেন বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভবন তিনটি নির্মানের অনেক বছর আগেই ওই এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন টানা হয়েছিল। প্রায় চার বছর আগে কাউন্সিলর সেলিম খানের বড় ভাই আলমগীর হোসেন প্রথমে তার ভবনটি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তখন থেকেই পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন ও দুটি পিলার স্থানান্তর করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু বছরের পর বছর পার হলেও বিদ্যুৎ লাইন অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। এখন ভবনটির দোতলা ছাদ ঢালাই দেয়া হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন ভবনের মধ্যে রেখেই। 

পাশাপাশি আরো দুটো ভবন নির্মান করা হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন ভবনের মধ্যে রেখেই। এরপর একইভাবে ঢালাই করেন দুই তলার ছাদ। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। যদি তার ছিঁড়ে পড়ে যায় তা হলে আর রক্ষা নেই। শুধু আলমগীর হোসেন নয়, তার আরো দুই ভাই কাউন্সিলর সেলিম খান ও হারুন আর রশিদ ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে তাদের পরিবার নিয়ে।

ভবন মালিক আলমগীর হোসেন খান বলেন, আমার ভবনের মধ্য দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইন গেছে। আমি মাত্র দুই তলা করেছি। এর বেশী উচু করার ইচ্ছে থাকলেও এখন করতে পারছি না। কারণ, যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। মাঝে মধ্যে বন্যায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তার ছিঁড়ে যায়। 

ভবন তৈরির সময় বিদ্যুৎ বিভাগকে খুঁটি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছিলেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কোনো দপ্তরে কাজের জন্য গেলে শুধু ঘুরতে হয়। হয়রানির শিকার হতে হয়। চার বছর যাবত বিদ্যুৎ অফিসের ধরনা দিয়ে আসছি। কয়েকবার বিদ্যুৎ অফিস থেকে লোকজন আসলেও কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কার্যকারী কোন ভূমিকা রাখেনি। তাই তিনি পল্লী বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই যেন পল্লী বিদ্যুৎ সঞ্চালনার লাইন ও পিলার অপসারণ করা হয়। 

বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ডিজিএম গোবিন্দ চন্দ্র দাস জানান, ভবনগুলো নির্মাণের আগেই পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের পল্লী বিদ্যুৎ সঞ্চালনা লাইন নেয়া হয়েছে। তবে এখন কি অবস্থায় আছে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×