ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী জাহিদুল গ্রেফতার 

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর 

প্রকাশিত: ২১:০৫, ২৯ অক্টোবর ২০২২

কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী জাহিদুল গ্রেফতার 

গ্রেফতারকৃত জাহিদুল ইসলাম

গাজীপুরে রাস্তা থেকে তুলে জঙ্গলে নিয়ে ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামীকে তার নানার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। তাকে শ্রীপুর থানাধীন কেওয়া চন্নপাড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। 

শনিবার র‌্যাব-১’র স্পেশালাইজ কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর এ এস এম মাঈদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ জাহিদুল ইসলাম (২৭)। সে গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন দক্ষিণ সালনা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। 

র‌্যাব-১’র ওই কর্মকর্তা জানান, গাজীপুর মহানগরীর রাস্তা থেকে তুলে সালনা এলাকার জঙ্গলে নিয়ে ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পোশাক কর্মী এক কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী জাহিদুল ইসলাম জেলার শ্রীপুর থানাধীন কেওয়া চন্নপাড়া এলাকা নানা আজগর আলীর বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে। 

এ গোপন সংবাদ পেয়ে র‌্যাব-১’র একটি টিম শুক্রবার বিকেলে সেখানে অভিযান চালিয়ে জাহিদুলকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই পোশাককর্মীকে (১৮) সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত জাহিদুল। তাকে জিএমপি’র সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গতঃ গত ২১ অক্টোবর (শুক্রবার) পোশাক কারখানায় চাকরির সন্ধানে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে এক কিশোরী (১৮) গাজীপুর মহানগরীর টেকনগপাড়া এলাকায় এক বান্ধবীর বাসায় যায়। 

সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। দুপুর সোয়া একটার দিকে তাদেরকে রাস্তা থেকে টেনে দক্ষিণ সালানার বাথানিয়া টেকের জঙ্গলে নিয়ে যায় ৪ যুবক। সেখানে ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে এবং বন্ধুকে একপাশে আটকে রেখে কিশোরীটিকে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে যুবকরা। দলবদ্ধ ধর্ষণের একপর্যায়ে কিশোরীটির সঙ্গে তাদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। 

এসময় কৌশলে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে আশ্রয় নেয় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। এ ঘটনার পর যুবকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় হৃদয় ও মনির নামের দুইজনকে চাপাতি ও হাতুড়িসহ হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয় ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ ও এলাকাবাসী। 

এসময় জাহিদুল ও নাসিম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবকদের আটক করে থানা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন ভিকটিমের মা বাদী হয়ে জাহিদুলকে প্রধান আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামী নাসিম এখনো পলাতক রয়েছে।

 

 
        

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×